জুলাই আন্দোলনে আহত ২৩ বছর বয়সী কোরআনের হাফেজ মোহাম্মদ হাসান বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে আজ (২৪ মে) তার মরদেহ দেশে এসে পৌঁছায়।
শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাফেজ হাসানের মরদেহ রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম তার মরদেহ গ্রহণ করেন এবং ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মশিউর রহমান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শহীদ হাসানের পরিবারের সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিনিধি ইমরান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, শহীদ হাসানের মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসন নোয়াখালী সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছে।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের টাইগারপাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহত হন হাসান। প্রথমে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল পাঠানো হয়। শেষে তাকে সে দেশের পায়াথাই পাহোলিওথিন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।