চলতি জুন মাসের প্রথম ২৩ দিনে গত মে মাসের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে বাংলাদেশে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি জুন মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৭৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।
গত মে মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার। সেই তুলনায় চলতি জুন মাসের প্রথম ২৩ দিনে ১০ কোটি ডলারের বেশি অতিরিক্ত প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বিদেশে অবস্থারত অনেকেই দেশে কোরবানি দিয়ে থাকেন। পাশাপাশি বিদেশে অনেক সংস্থা বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে অনেক অর্থ আসে কোরবানির জন্য; এবারও তাই এসেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা।
ব্যাংকাররা জানান, সাধারণত ঈদের আগে বিপুল পরিমাণ প্রবাসী আয় বাংলাদেশে আসে। এ সময় প্রবাসীরা পরিবারের সদস্যদের ঈদের বাড়তি খরচ জোগাতে বেশি পরিমাণ আয় দেশে পাঠান। তবে এর আগে পবিত্র ঈদুল ফিতরের মাস এপ্রিলেও প্রবাসী আয় খুব বেশি আসেনি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় প্রবাসী আয়ের গতি শ্লথ হয়েছে। তবে জুন মাসের পূর্ণাঙ্গ হিসাব না আসা পর্যন্ত বোঝা যাবে না যে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রবাসী আয় শেষ পর্যন্ত বেশি হলো কি না। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুন মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৮৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার।
দেশে এখনো ডলার–সংকট চলছে। এর মধ্যে গত মে মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমে যায়। ওই মাসে প্রবাসী আয় আসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ কম। এর আগে গত এপ্রিলেও আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ আয় কম এসেছিল। প্রবাসী আয়সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য মিলেছে।
ব্যাংকগুলো এখন ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দরে প্রবাসী আয় কিনতে পারছে, যা কার্যকর হয়েছে ১ জুন থেকে। প্রবাসী আয় কম আসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়িয়েছে। এর আগে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ছিল ১০৮ টাকা।
জানা গেছে, হুন্ডিতে ডলারের দাম পাওয়া যায় প্রায় ১১০ টাকা। ব্যাংকাররা বলছেন, বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে প্রতি ডলারে ব্যাংকগুলো বেশি টাকা দিলে তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। এ কারণে ব্যাংকগুলো বেশি দাম দিয়ে আয় আনতে পারছে না।