সুপার ফোরে যাওয়ার সুযোগ হারাল আফগানিস্তান

0
131
রশিদ খান জেতাতে পারলেন না, ছবি: এএফপি

ফজলহক ফারুকি বা আফগানিস্তান দল কি তাহলে সমীকরণটা জানতেন না!

৩৮তম ওভারের প্রথম বলে মুজিব উর রেহমান আউট হওয়ার পরও সুপার ফোরে যাওয়ার সুযোগ ছিল আফগানিস্তানের। সেক্ষেত্রে ২৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা আফগানদের ৩৭.৪ ওভারের মধ্যে করতে হতো ২৯৫ রান।

এমনকি ম্যাচ টাই হওয়ার পর, মানে ২৯১ রান করার পর ছক্কা মারলে সুযোগটি ছিল ৩৮.১ ওভার পর্যন্ত। কিন্তু নিজে বড় শট খেলা বা সিঙ্গেল নিয়ে রশিদ খানকে স্ট্রাইকে দেওয়ার কোনো চেষ্টাই করলেন না ফারুকি। উল্টো চতুর্থ বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যাওয়াতে ২ রানে হেরেই গেল আফগানিস্তান। ফলে তাদেরকে টপকে সুপার ফোরে বাংলাদেশের সঙ্গী হচ্ছে শ্রীলঙ্কাই।

সুপার ফোরে যেতে ৩৭.১ ওভারের মধ্যে জিততে হবে, প্রথম ইনিংসশেষে জানা গিয়েছিল এমন সমীকরণ। মোহাম্মদ নবীর ৩২ বলে ৬৫ রানের পর রশিদ খান, নাজিবুল্লাহ জাদরানের ক্যামিওতে শেষ ৭ বলে ১৬ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় আফগানিস্তানের সামনে। রশিদ সে সময় দুনিত ভেল্লালাগের ওভারের প্রথম দুই বলই মিস করেন। এরপরের ৪ বলে ৩ চার মেরে আশা বাঁচিয়ে রাখেন রশিদ। তবে পরের বলে জয়ের জন্য দরকার ৩ রান, সে বলেই আউট মুজিব। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা রশিদের হতাশাই বলছিল, তখনো যে সুযোগ আছে সেটি তারা জানতেন না।

সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা, ছবি: এএফপি

অবশ্য শ্রীলঙ্কার জন্য সমীকরণটা সহজ ছিল। জিতলেই সরাসরি সুপার ফোরে যেত তারা। বোলিংয়ে তাদের শুরুটাও হয় দুর্দান্ত। যাদের ওপর সবচেয়ে বেশি ভরসা ছিল আফগানদের, সেই রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানকে দুই অংকেই যেতে দেননি কাসুন রাজিতা। তবে নবী ক্রিজে আসার পর থেকেই চাপ বাড়ে লঙ্কানদের।

২৪ বলে ৫০ করা নবী হাশমতউল্লাহ শহীদিকে নিয়ে গড়েন ৪৭ বলে ৮০ রানের জুটি। এই জুটিতে নবীরই অবদান ৩২ বলে ৬৫ রান। আফগানিস্তানের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডও গড়েন নবি। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহও লড়াই করে গেছেন। নবীর সঙ্গে জুটি গড়ার আগে রহমত শাহর সঙ্গে গড়েন ৬৩ বলে ৭১ রানের জুটি। এরপর করিম জানাতকে নিয়ে গড়েন ২৮ বলে ৩৩ রানের জুটি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটি ভাঙেন দুনিত ভেল্লালাগে।

৩২ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছেন নবী
৩২ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছেন নবী, ছবি: এএফপি

এর আগে ব্যাটিংয়েও দারুণ অবদান রাখেন আটে নামা ভেল্লালাগে। অষ্টম উইকেট জুটিতে মহিশ তিকশানার ৬৩ বলে ৬৪ রানের জুটিই শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে ২৯১ রানে পৌঁছে দেয়। অবশ্য এক সময় ৩ উইকেটে ১৮৮ রানের স্কোর ছিল তাদের, কুশল মেন্ডিস করেন ৮৪ বলে ৯২ রান। এরপর মিডল অর্ডারের ধসে তারা পরিণত হয় ২২৭ রানে ৭ উইকেটে। সেখান থেকেই তিকশানা ও ভেল্লালাগের জুটি টেনে তোলে তাদের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.