জিপিটি-৫ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে নতুন বিপ্লব

0
21
বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাচ্ছে জিপিটি-৫ওপেনএআই অ্যাকাডেমি

সম্প্রতি উন্মোচন করা হয়েছে ওপেনএআইয়ের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট জিপিটি-৫। গত ৭ আগস্ট, বৃহস্পতিবার ওপেনএআইয়ের নিজস্ব ব্লগ পোস্টে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে। নতুন এই মডেল ব্যবহার করা যাবে বিনামূল্যে।

জিপিটি-৫ নিয়ে এখন বেশ আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু কেন এত আলোচনা? কারণ, এটি আগের চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান। উত্তরও দিতে পারে অনেক দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে। আগে যেমন চ্যাটবটগুলো মাঝেমধ্যে না জেনেও বানিয়ে বা ভুলভাল উত্তর দিত, নতুন এই মডেল তা কম করে। কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে তা স্বীকার করে নেয়। এতে মানুষের কাছে জিপিটি-৫ আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে।

নতুন এই মডেলের একটি জাদুকরি ক্ষমতা হলো ‘ভাইব কোডিং’। মানে এখন আর আপনাকে জটিল কোডিং শিখতে হবে না। শুধু নিজের ইচ্ছার কথাটা লিখে দিলেই চ্যাটবট আপনার জন্য একটি অ্যাপ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে দেবে!

উন্মোচন অনুষ্ঠানে এর একঝলক প্রমাণও পাওয়া গেছে। সেখানে জিপিটি-৫-কে বলা হয়েছে, ফরাসি ভাষা শেখার একটি মজার অ্যাপ বানিয়ে দিতে। অ্যাপে থাকবে ফ্ল্যাশ কার্ড, কুইজ এবং প্রতিদিনের অগ্রগতি দেখার ব্যবস্থা। বলার সঙ্গে সঙ্গে চ্যাটবট দুটি ভিন্ন ধরনের অ্যাপ বানিয়ে দেখিয়েছে।

ওপেনএআইয়ের দাবি, জিপিটি-৫ এর সঙ্গে কথা বললে মনে হবে, কোনো মানুষের সঙ্গেই কথা বলছেন। এটি শুধু প্রশ্নের উত্তরই দেয় না, বরং উত্তর দেওয়ার আগে গভীরভাবে চিন্তা করে। একে বলা হচ্ছে ‘রিজনিং মডেল’।

তবে আসলেই এসব বাস্তবে পরিণত হয় কিনা, তা সময় বলবে। কারণ, সবাই কিন্তু স্যাম অল্টম্যানের কথার সঙ্গে একমত নন।

ওপেনএআইয়ের প্রধান স্যাম অল্টম্যানের মতে, জিপিটি-৫ থাকা মানে আপনার পাশে সবসময় পৃথিবীর সেরা লেখক, বিজ্ঞানী এবং প্রোগ্রামারদের একটি দল বসে আছে। তাঁরা যেকোনো কাজে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত।

তবে আসলেই এসব বাস্তবে পরিণত হয় কিনা, তা সময় বলবে। কারণ, সবাই কিন্তু স্যাম অল্টম্যানের কথার সঙ্গে একমত নন। যেমন, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর এথিক্স ইন এআইয়ের অধ্যাপক ক্যারিসা ভেলিজ মনে করছেন, জিপিটি-৫-এর উন্মোচন যতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রচার করা হচ্ছে, বাস্তবে তার চেয়ে অনেকটাই কম তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। এ ছাড়া বিবিসির এআই প্রতিবেদক মার্ক সিসলাক জিপিটি-৫ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের আগেই ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর চোখেও জিপিটি-৫-এর তেমন কোনো বড় পরিবর্তন ধরা পড়েনি।

যাহোক, জিপিটি-৫ যেহেতু সবাই বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারছেন, তাই নিজেরাও একটু পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখতে পারেন। হয়তো ধীরে ধীরে  চ্যাটজিপিটির পুরাতন মডেলের সঙ্গে এই নতুন মডলের পার্থক্য আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে।

সূত্র: এনবিসি ও বিবিসি ডটকম

কাজী আকাশ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.