জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

0
102
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সহপাঠীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রক্টর দপ্তরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর দেওয়া লিখিত অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতনসংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির কাছে আসলে তা তদন্তের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন উপাচার্য।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতনসংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির প্রধান অধ্যাপক জেবউন্নেসা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রী ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফিরোজ-উল হাসানের কাছে একটি অভিযোগ দেন। সেটি পরে যৌন নির্যাতনসংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির কাছে আসে। বিষয়টি উপাচার্যকে জানানো হলে তিনি তদন্তের জন্য অনুমোদন দেন। কমিটি অভিযোগটি তদন্ত করবে।

অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগের শিক্ষার্থী। লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেছেন, গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে তিনি ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে একটি স্টোরি শেয়ার করেন। স্টোরিতে একটি লিংক দেওয়া ছিল, যেটিতে ক্লিক করে পরবর্তী সময়ে পরিচয় গোপন রেখে মেসেজ (বার্তা) পাঠানো যায়। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী পরিচয় গোপন না করে স্টোরির রিপ্লাই (উত্তর) দিয়ে ইনবক্সে মেসেজ পাঠান; যেখানে মেসেজটি শুধু যৌন ইঙ্গিতপূর্ণই নয়; পাশাপাশি কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক ছিল।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে অন্য সহপাঠীরা ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে তিনি দোষ স্বীকার করেন। পরে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে বলে দাবি করেন। ওই শিক্ষার্থীর দাবি, তিনি মজা করে মেসেজটি দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি এ রকম মেসেজ আরও অনেককেই দিয়ে থাকেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী আরও উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্তের কাছ থেকে এ রকম হেনস্থাকর মন্তব্যের সম্মুখীন হওয়া তাঁর জন্য হুমকিস্বরূপ। অভিযুক্ত যেহেতু বলেছেন, তিনি এমন বার্তা অনেককে পাঠান, সেহেতু অন্য সহপাঠীরাও তাঁর সঙ্গে ক্লাস করতে বা পরীক্ষা দিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

ভুক্তভোগী বলেন, ‘গত বুধবার (১৭ মে) আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। প্রক্টর স্যার বলেছিলেন, যেহেতু যৌন নিপীড়নের ঘটনা, সুতরাং যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’

জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি তো দোষ স্বীকার করে মাফ চেয়েছি। তারপরও কেন অভিযোগ দিল বুঝতে পারছি না।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.