জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে ছাড়া হলো আটক ১০টি বাস

0
20
ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৌমিতা পরিবহনের আটকে রাখা বাস

রাজধানীর বকশীবাজারে মৌমিতা বাসের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবা নিহত হওয়ার ঘটনায় ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে আটক করা ১০টি বাস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বাসগুলো ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে গেছে মালিকপক্ষ।

এর আগে ৮ জুলাই বকশীবাজার এলাকায় মৌমিতা পরিবহনের বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত বিনতে জুহুরের বাবা জহুরুল হক নিহত হন। পরদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী মৌমিতা পরিবহনের ১০টি বাস ক্ষতিপূরণের দাবিতে ক্যাম্পাসে নিয়ে আটকে রাখেন।

গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বাসের মালিকপক্ষ। ওই আলোচনায় শিক্ষার্থীরা ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর কয়েক দফা আলোচনা শেষে গতকাল রাতে নগদ ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় মালিকপক্ষ। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরও ৫ লাখ টাকা আগামী তিন মাসের মধ্যে বাস কর্তৃপক্ষের কল্যাণ তহবিল থেকে দেবে, এমন লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। পরে রাত ১১টার দিকে বাসগুলো নিয়ে যায় তারা।

রিফাতের সহপাঠীরা জানিয়েছিলেন, রিফাতের ছোট ভাই ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। তাঁর চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন তাঁর বাবা জহুরুল হক। বাসের ধাক্কায় তাঁদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মারা গেছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, বাস কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা নগদ দিয়েছে। ওই টাকা ভুক্তভোগীর সন্তান রিফাতের কাছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ৩ মাসের মধ্যে আরও ৫ লাখ টাকা দেবে, এমন লিখিত প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.