টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য ‘মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে’ অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রথম বিদেশ সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও পৃথিবীর বিখ্যাত বহুজাতিক কোম্পানির শীর্ষ নেতারা সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে থাকেন এ কনফারেন্সে।
২০১৮ সালেও টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স দিয়ে নিজের বিদেশ সফর শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখ শহরে এবারের কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। গত ৬০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এই কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে সবসময় বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ফলপ্রসূ কূটনৈতিক আলোচনার জন্য এই কনফারেন্সটি বেশ গুরুত্ব পেয়ে থাকে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে ফ্রান্স ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা একান্ত অপরিহার্য। বিভিন্ন বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা এবং ২০২৬ এর পরে বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য বিদেশিদের সঙ্গে সুসম্পর্কসহ বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করার কোনও বিকল্প নেই।
এ বিষয়ে সাবেক একজন কূটনীতিক বলেন, একটি দেশে যত উন্নয়ন হয়, তার বিদেশ নির্ভরতা তত বেশি বাড়তে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মাত্রা অনেক বেশি। কারণ ওই সব দেশের উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশও এর ব্যাতিক্রম নয় এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে কোন দেশের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক রাখা হবে।’