ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম. সাইফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এক হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর হয়। এদিন সকালে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন পরীমণি।
জানা গেছে, ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম. সাইফুল ইসলামের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে এ আত্মসমর্পণ করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী।
সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তাদের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
পরে গত ১৮ এপ্রিল ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম. সাইফুল ইসলামের আদালত পিবিআইয়ের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান।
বাদী নাসির উদ্দিন মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।