প্যারিস যে তাঁর ঠিকানা থাকবে না, এটা একপ্রকার নিশ্চিত। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম তো খবর দিয়েই যাচ্ছে, পিএসজির সঙ্গে মেসির নতুন চুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই। মেসির ঘনিষ্টজনেরাও একই কথা বলে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করলেও সেটাই স্পষ্ট হয়।
এখন প্রশ্ন, মেসি তাহলে কোথায় যাবেন? বার্তা সংস্থা এএফপি খবর দিয়েছিল, আগামী মৌসুমে সৌদি আরবে যাওয়ার চুক্তি সেরে ফেলেছেন মেসি। মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি সেই খবরকে ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এরপর আবার সামনে চলে আসে বার্সেলোনা ও ইন্টার মায়ামির নাম। এখন তো নিউক্যাসলের নামও শোনা যাচ্ছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের ক্লাবে খেলা মেসির জাতীয় দলের সতীর্থরা তাঁকে নিজেদের দলে পেতে আগ্রহী। মেসির সঙ্গে কাতার বিশ্বকাপে খেলা রিয়াল বেতিসের জার্মান পেৎসেয়া তাঁকে স্প্যানিশ ক্লাবটিতে পেতে চান। এরপর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ বলেছেন, মেসিকে অ্যাস্টন ভিলায় পেতে নিজের বেতন কমাতেও রাজি তিনি!
আসলে মেসির ভবিষ্যৎ কী? এই মুহূর্তে এটা সত্যিই অনিশ্চিত। যে বার্সেলোনা তাঁকে ফেরাতে উন্মুখ, সেই দলের কোচ এবং মেসির সাবেক সতীর্থ জাভি হার্নান্দেজও সে রকম কথাই বললেন। বার্সেলোনায় মেসিকে ফেরানোর ব্যাপারটি কী অবস্থায় আছে, এমন প্রশ্নে জাভি বলেন, বিষয়টি এখনো ‘অনিশ্চিত’ এবং তাঁর কাছে ‘অজানা’।
মেসিকে পেতে উন্মুখ হয়ে আছে বার্সেলোনা। কোচ জাভির পাশাপাশি ক্লাব সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে আশাবাদী। কিন্তু বাস্তবতাটাও বোঝেন জাভি। এ কারণেই চার বছর পর বার্সেলোনাকে লা লিগার শিরোপা জেতানো কোচ বলেছেন, ‘এটা এখনো অনিশ্চিত।’
জাভি এরপর যোগ করেন, ‘এটা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। এর চেয়ে বেশি আমি কিছু বলতে পারছি না। লিও অসাধারণ এক ফুটবলার। সে আমার বন্ধু। এরপরও আমি বলব, এটা অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু সবকিছুর ওপর ওর মনোভাব এবং ও কী চায়।’