নতুন বছরের প্রথম দিনে বড় দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছে জাপানবাসী। গতকাল সোমবার ১ দিনে দেশটিতে ১৫৫টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, এতে প্রাণ গেছে ৩০ জনের।
জাপানের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য, ১৫৫টি ভূমিকম্পের মধ্যে ১টি রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ছিল। জাপানের মধ্যাঞ্চলে এই ভূমিকম্প হয়েছে। আরেকটি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিকের বেশি।
ভূমিকম্প উপদ্রুত ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে প্রায় ৩৩ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পের সময় বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ থেকে সৃষ্ট আগুনেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া বেশির ভাগ ভূমিকম্প রিখটার স্কেলে ৩ দশমিকের বেশি মাত্রার ছিল। জাপানের আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার ভোরে শক্তিশালী ৬টি কম্পন অনুভূত হয়েছে।
গতকাল ভূমিকম্পের পর জাপানের পশ্চিম উপকূলে সুনামি আঘাত হানে। এ সময় ১ মিটার বা ৩ দশমিক ৩ ফুটের বেশি উচ্চতার ঢেউ উপকূলে আছড়ে পড়ে। আজ জাপানের আবহাওয়া দপ্তর সুনামি সতর্কতা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
এদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে পড়েছেন। ভেঙে পড়েছে বহু ভবন। জাপানের ইশিকাওয়া অঞ্চলের ওয়াজিমা শহরের ফায়ার সার্ভিস বলেছে, তারা ভূমিকম্পে অন্তত ৩০টি ভবন ধসে পড়ার খবর পেয়েছে।
ভূমিকম্পে জাপানে ফাটল ধরেছে অনেক সড়কে। এ জন্য অনেক জায়গায় পৌঁছাতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। তীব্র শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ ছাড়াই দিন কাটছে হাজারো মানুষের।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আজ দুর্যোগ নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন। এ সময় কিশিদার দেওয়া ভাষণ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ভাষণে কিশিদা বলেন, ‘তল্লাশি আর উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে আমাদের সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী কিশিদা আরও বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব আমরা সবাইকে উদ্ধার করব। বিশেষ করে, যাঁরা এখনো ধসে পড়া স্থাপনার নিচে চাপা পড়ে আছেন, তাঁদের উদ্ধার করা হবে।’