জাপানের যে দ্বীপ ঘুরতে দিতে হবে কর

0
152
মিয়াজিমার হাতসুকাইচির ছবি তোলায় ব্যস্ত পর্যটকেরা, ছবি: জাপান নিউজের সৌজন্যে

জাপানে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান শত শত বছরের পুরোনো ইতসুকুশিমা মন্দির। মন্দিরটি একটি লেকের ওপর নির্মিত। মন্দিরের একটি অংশ হলো উজ্জ্বল কমলা রঙের টোরি গেট। জোয়ারের সময় দেখলে মনে হয় গেটটি লেকের জলে ভাসছে। এখন এই মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য কিছুটা ব্যয়বহুল হবে।

মন্দিরটি হিরোশিমা এলাকার হাতসুকাইচি শহরের মিয়াজিমা দ্বীপে অবস্থিত। দ্বীপটির আনুষ্ঠানিক নাম ইতসুকুশিমা। ১ হাজার ৪০০ বছরের পুরোনো শিন্তো কমপ্লেক্সের অংশ এই টোরি গেট। এটিকে মন্দিরের প্রবেশদ্বার মনে করা হয়। এটি ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত। দেশীয় পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশিদের কাছে এটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। চলতি বছরের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাপান সফরে গিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন।

তবে এই জনপ্রিয়তার একটি খারাপ প্রভাবও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত পর্যটকের চাপে হিমশিম অবস্থা হাতসুকাইচির। স্থানীয়দের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানকার কর্মকর্তারা পর্যটক কর আরোপ করেছে, যা গত রোববার থেকে কার্যকর হয়েছে। এই কর ২০২১ সাল থেকে আরোপ করার কথা ছিল, কিন্তু করোনা মহামারির কারণে দেরি হলো।

মিয়াজিমা দ্বীপে যাওয়া পর্যটকদের এখন একবারের জন্য গুনতে হবে ১০০ ইয়েন, যা বাংলাদেশি টাকায় ৭৪ টাকা। আবার কোনো দর্শনার্থী চাইলে এক বছরের জন্য পাস কিনে রাখতে পারবেন। সেটির মূল্য পড়বে ৫০০ ইয়েন (বাংলাদেশি ৩৭০ টাকা)। এই অর্থ পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নে ব্যয় হবে। যেমন গণশৌচাগার, মন্দিরের স্থাপত্য ও এই এলাকার পরিবেশবান্ধব পর্যটনকে উৎসাহিত করা।

শহরের পরিকল্পনা দপ্তরের একজন কর্মকর্তা শুনজি মুকাই বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের জন্য একটি অতিথিপরায়ণ পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি দ্বীপবাসীর জীবনযাত্রা সুরক্ষিত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। আমরা আশা করি পর্যটকেরা দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে মিয়াজিমা দ্বীপকে রক্ষায় আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.