বিশ্ববাজারে গাড়ি রপ্তানিতে শীর্ষস্থানে থাকা জাপানকে টপকে গেছে চীন। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের (জানুয়ারি-মার্চ) রপ্তানি পরিসংখ্যান থেকে এমনটাই দাবি করেছে চীন।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীন চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে ১০ লাখ ৭০ হাজার গাড়ি রপ্তানি করে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে গত জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত ৩ মাসে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ১৮৫টি গাড়ি রপ্তানি করেছে জাপান। তাদের এ রপ্তানি গত বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি।
বিশ্ববাজারে চীনের গাড়ি রপ্তানি দ্রুত বাড়ছে। গত বছর দেশটি জার্মানিকে টপকে দ্বিতীয় শীর্ষ গাড়ি রপ্তানিকারক হয়। বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়ায় রপ্তানির কারণেই মূলত চীনের গাড়ি রপ্তানি বাড়ছে। ইউক্রেনে হামলার অভিযোগে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাশিয়ায় গাড়ি রপ্তানি বাড়াচ্ছে চীন।
চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, গত বছর চীন ৩২ লাখ গাড়ি রপ্তানি করে। অন্যদিকে জার্মানি রপ্তানি করে ২৬ লাখ গাড়ি।
বিশ্বের মোটরযান শিল্প জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসছে। আর এ কারণেই চীনের এ শিল্পের উত্থান ঘটছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বৈদ্যুতিক গাড়িসহ নতুন ধরনের জ্বালানির গাড়ি রপ্তানি গত বছরের তুলনায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ধনী ইলন মাস্কের কোম্পানি টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের কারখানা রয়েছে চীনের সাংহাইয়ে। সেখান থেকে জাপান, ইউরোপসহ বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি হয়। টেসলার গিগাফ্যাক্টরিতে বর্তমানে বছরে ১২ লাখ ৫০ হাজার গাড়ি উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। কোম্পানিটি এ উৎপাদন সক্ষমতা আবার বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।