গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছিলেন ভিক্ষার সিট (আসন) নিয়ে তারা নির্বাচন করবেন না। তার কয়েক ঘণ্টা পরে ২৬টি আসন সমঝোতা করে তারা সেই ভিক্ষার সিট নিয়েই নির্বাচনে গেছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ এবং এক দফা দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতালের সমর্থনে এ সমাবেশ হয়।
এ সময় তারা বলেন, কোনো শক্তি, কোনো দমন-পীড়ন তাদের গণতান্ত্রিক লড়াইকে থামাতে পারবে না। শত বাধার মুখেও তারা রাস্তায় নামবেন।
সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে জোটটি। বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং ‘একতরফা নির্বাচন’ ও ‘পরিকল্পিত সহিংসতা’র প্রতিবাদে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ যুগপৎ ধারায় ৩৯টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। এর বাইরেও ৬৩টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যাচ্ছে না। এই নির্বাচন তামাশার, দেশের মানুষ ও দেশের বিরুদ্ধে।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের বিষয়ে সাকি বলেন, এ রকম নাশকতার সঙ্গে চলমান আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার নাশকতা করে আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে চায়।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের যেমন ভোট চাওয়ার অধিকার আছে, তেমনি বিরোধীদেরও নির্বাচনের বিরোধিতা করার নাগরিক অধিকার আছে। নির্বাচন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিকামী মানুষের অধিকার বন্ধ করতে পারবে না।
এ সময় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ গণতন্ত্র মঞ্চের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।