জাতিসংঘের বিশেষ দূত ছোট নৌকা গাজায় পৌঁছাতে পারলে, বিভিন্ন দেশের সুসজ্জিত নৌবাহিনী কেন নয়?

0
15
ফ্রান্সেসকা আলবানিজ।

জাতিসংঘের অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রান্সেসকা আলবানিজ ইসরায়েলের আরোপিত নৌ-অবরোধের কার্যকারিতা এবং বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর নীরবতা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তুলেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাবিশ্ব থেকে মানবাধিকার কর্মীরা যখন ছোট ও স্বল্প সম্পদের কয়েক ডজন নৌকায় ত্রাণ নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন এবং ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজার কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছেন, তখন শক্তিশালী নৌবাহিনীসমৃদ্ধ রাষ্ট্রগুলো কেন একই কাজ করতে পারছে না, সে প্রশ্নই তুলেছেন আলবানিজ।

তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লেখেন, যখন ‘বিশ্বের সাধারণ নাগরিকরা’ ছোট ও সীমিত সম্পদের নৌকায় করে গাজার ৬০ নটিক্যাল মাইল (১১১ কিলোমিটার) দূরত্ব পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছেন, তখন বিভিন্ন দেশের সুসজ্জিত ও শক্তিশালী নৌবাহিনী কেন সহজেই ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে পারছে না, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

তিনি আরও লেখেন, রাষ্ট্রগুলো কেন তাদের নৌবাহিনী দিয়ে অবরোধ ভাঙছে না? এ কেমন পৃথিবীতে আমরা বাস করছি? না, আমরা এটিকে মেনে নেব না। গাজামুখী সহায়তা বহরের (ফ্লোটিলা) নিরাপদ যাত্রা কামনা করে তিনি বলেন, চলো, এগিয়ে চলো ফ্লোটিলা! নিরাপদে যাত্রা করো। সৃষ্টিকর্তা তোমাদের সহায় হোক।

প্রসঙ্গত, বুধবার গাজা উপকূল থেকে কিছু দূরে ১৩টি নৌকা বা ফ্লোটিলা আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করেন, গাজা উপকূল থেকে ৪৬ নটিক্যাল মাইল দূরেই ওই নৌকাগুলোকে আটক করা হয়। আটক করার পর নৌকাগুলোর লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানকার মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। এ বিষয়ে এখনও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে মানবাধিকার কর্মীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী ১৩টি নৌকা আটক করলেও এখনও ৩০টি নৌকা গাজার দিকে তাদের যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। তারা গাজায় ত্রাণ সরবরাহের উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.