বিয়ে করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানের যুবরাজ যুবরাজ হুসেইন বিন আবদুল্লাহ। কনে সৌদি আরবের স্থপতি রাজওয়া আল সাইফ। গতকাল বৃহস্পতিবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানের জাহরান প্রাসাদে জমকালো আয়োজনে এক হয় হুসেইন ও রাজওয়ার চার হাত।
রাজকীয় এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশি-বিদেশি শতাধিক অতিথি। উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রিন্স অব ওয়েলস উইলিয়াম, প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথেরিন, নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম আলেকজান্ডার, দেশটির রানি ম্যাক্সিমা, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, দেশটির ক্রাউন প্রিন্সেস এলিজাবেথ, ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডেরিক প্রমুখ।
বিয়ের আয়োজনে অতিথিদের স্বাগত জানান জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও রানি রানিয়া। এই দম্পতির বড় ছেলে যুবরাজ হুসেইন। তিনি জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ জর্ডানের ভবিষ্যৎ বাদশাহ।
হুসেইনের বয়স ২৮ বছর, আর তাঁর স্ত্রী রাজওয়ার বয়স ২৯ বছর। বিয়ের আসরে যুবরাজ হুসেইনের পরনে ছিল কালো রঙের সামরিক স্যুট। হাতে ছিল সাদা দস্তানা। আর কনে রাজওয়া পরেছিলেন সাদা রঙের ফুলহাতা বিয়ের গাউন। মাথায় ছিল মুকুট আর গাউনের সঙ্গে মিলিয়ে লম্বা সাদা ওড়না।
হুসেইন-রাজওয়া দম্পতি রাজকীয় মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান। এ সময় পথের দুই ধারে অসংখ্য মানুষ হাত নেড়ে, পতাকা উড়িয়ে তাঁদের শুভেচ্ছা জানান। উল্লাস প্রকাশ করেন। শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন ২৬ বছর বয়সী সাওসান রিফাইয়া। তিনি বলেন, ‘যুবরাজের বিয়েতে আমরা ভীষণ খুশি। এটা পুরো জর্ডানবাসীর জন্য খুশির দিন।’
যুবরাজ হুসেইন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাইন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। রাজনীতি-সচেতন হুসেইন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিয়েছেন। দেশে-বিদেশে দারুণ জনপ্রিয় তিনি।
অন্যদিকে, রাজওয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সৌদি আরবে হলেও তিনি পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত। তিনি স্থাপত্যবিদ্যায় পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে।