জয়সোয়াল-সূর্যবংশীর ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে-অফের আরও কাছে পাঞ্জাব

0
19
সর্বশেষ কাঁটা ধ্রুব জুরেলকে ফেরানোর পর পাঞ্জাব কিংসের খেলোয়াড়দের উদ্‌যাপন,এএফপি

২২০ রানের লক্ষ্য।

রান তাড়ায় যেমন শুরু দরকার ছিল, রাজস্থান রয়্যালসকে তেমন শুরুই এনে দিয়েছিলেন যশস্বী জয়সোয়াল ও বৈভব সূর্যবংশী। অর্শদীপ সিংয়ের করা প্রথম ওভারে জয়সোয়াল নিলেন ২২ রান। যা আইপিএল ইতিহাসে ইনিংসের প্রথম ওভারে কোনো ব্যাটসম্যানের তৃতীয় সর্বোচ্চ।

মার্কো ইয়ানসেনের করা দ্বিতীয় ওভারে উঠল ১৭ রান। এর ১৬-ই বিস্ময় বালক সূর্যবংশীর ব্যাট থেকে। দুই ওপেনার মিলে ২.৫ ওভারেই দলকে এনে দিলেন ৫০ রান। এবারের আইপিএলে যা কিনা দ্রুততম দলীয় ফিফটি। পঞ্চম ওভারে ১৫ বলে ৪০ রান করা সূর্যবংশী ফিরে গেলেও পাওয়ার প্লেতে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৮৯ রান তুলে ফেলে রাজস্থান (আগের সর্বোচ্চ ৮৭)।

কিন্তু জয়পুরের সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে এমন উড়ন্ত সূচনার পরও পাঞ্জাব কিংসের কাছে ১০ রানে হেরেছে রাজস্থান। আর এই জয়ে প্লে-অফ খেলা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব। সর্বশেষ এই জয়ের পর ১২ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে পাঞ্জাব। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট পেলেও নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রাজস্থান আছে দশ দলের মধ্যে নয়ে।

রান তাড়ায় ৪.৫ ওভারেই ৭৬ রান যোগ করেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি রাজস্থানের দুই ওপেনার বৈভব সূর্যবংশী ও যশস্বী জয়সোয়ালবিসিসিআই

রান তাড়ায় রাজস্থান গতি হারায় নবম ওভারে জয়সোয়ালের বিদায়ের পর। ২৫ বলে ৫০ রান করা ওপেনার ওয়েনের দারুণ ক্যাচের শিকার হয়ে ফেরেন দলকে ১০৯ রানে রেখে। ১০ বল পর যখন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ফিরলেন দলটির স্কোর যোগ হয়েছে মাত্র ৫ রান।

এরপর যা লড়ার একাই লড়েছেন ধ্রুব জুরেল। তাঁর ৩১ বলে খেলা ৫৩ রানের ইনিংসটা অবশ্য শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। রাজস্থান শেষ পর্যন্ত থামে ৭ উইকেটে ২০৯ রান তুলে।

এর আগে পাঞ্জাব ৩.১ ওভারে ৩৪ রান তুললেও হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য ৭ বলে ৯ ও আইপিএল অভিষিক্ত অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান মিচেল ওয়েন ২ বল খেলে কোনো রান না করেই বিদায় নেন। তবে ১০ বলে ২১ রান করে রান তোলার গতিটা ঠিক রেখেছিলেন আরেক ওপেনার প্রভসিমরান সিং।

ম্যাচের সর্বোচ্চ ৭০ রান এসেছে পাঞ্জাবের নেহাল ওয়াধেরার ব্যাট থেকেএএফপি

টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৬৭ রান যোগ করেন নেহাল ওয়াধেরা। আইয়ার ফেরেন ২৫ বলে ৩০ রান করে। পরে শশাঙ্ক সিংকে নিয়ে ৩৩ বলে ৫৮ রান যোগ করা ওয়াধেরা ফিরে যান ১৬তম ওভারের শেষ বলে। ৫টি করে চার-ছক্কায় ৩৭ বলে ৭০ রান করা ব্যাটসম্যান যখন আউট হলেন পাঞ্জাবের স্কোর ১৫৯/৫।

এখান থেকে শেষ ৪ ওভারে ৬০ রান যোগ করেন শশাঙ্ক ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। শশাঙ্ক ৩০ বলে ৫৯ ও ওমরজাই ৯ বলে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.