তুলে ধরা হবে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড

0
117

বিএনপির এক দফার জবাবে পাল্টা এক দফা দিয়ে মাঠে থাকছে আওয়ামী লীগ। সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি আজ শুরু করবে বিএনপিসহ তার মিত্ররা। অন্যদিকে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও। প্রধান দুই দলের এ মুখোমুখি অবস্থানে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন

দু’দিনের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা নিয়ে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ। আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার ঢাকাসহ সারাদেশে এই কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন দলটি। এ কর্মসূচি ঘিরে এরই মধ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। এতে ব্যানার-ফেস্টুনে তুলে ধরা হবে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
কর্মসূচির প্রথম দিনে আওয়ামী লীগ আজ ঢাকা মহানগর ছাড়াও রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সব জেলা ও মহানগরে এ কর্মসূচি পালন করবে।

এদিন ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে থেকে ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সমাবেশের পর শোভাযাত্রা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড ও সিটি কলেজ সড়ক হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে।

আগামীকাল বুধবার আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার কর্মসূচি পালিত হবে ঢাকা, রংপুর, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা ও মহানগরে। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ব্যানারে এদিন বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। শোভাযাত্রার আগে সাতরাস্তায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন ওবায়দুল কাদের।

উন্নয়ন শোভাযাত্রা ও সমাবেশ থেকে সরকারের গত তিন মেয়াদের সার্বিক উন্নয়নচিত্রও তুলে ধরা হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। রাজধানীতে মহানগর, থানা-ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতারা ফেস্টুন-ব্যানারে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে সমাবেশে যোগ দেবেন। আওয়ামী লীগ ছাড়াও দলের সব সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও এতে যোগ দেবেন।
কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে বর্ধিত সভা করেছে। উভয় সভায় মহানগরীর দুই অংশের মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড নেতাদের নিজ নিজ এলাকার দল ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে সমাবেশে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর বিভিন্ন আসনের সরকারদলীয় এমপি ও জনপ্রতিনিধিদের অধিক সংখ্যক নেতাকর্মীকে সমাবেশে উপস্থিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া গত শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকেও কর্মসূচি সফল করার নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের।

সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ে গত ১২ জুলাই রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় সমাবেশ থেকে ১৮ ও ১৯ জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরদিন ১৩ জুলাই ওই দু’দিনই সারাদেশে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ।
এর আগে বিএনপি ও তার মিত্রদের কর্মসূচির দিনে শান্তি সমাবেশ ও সতর্ক অবস্থানের কর্মসূচি পালন করে আসছিল ক্ষমতাসীন দলটি। তবে এখন থেকে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির নাম শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ হিসেবে পালিত হবে বলে ঘোষণা দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের সারাদেশে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা কর্মসূচি সফল করার জন্য দল এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী, সমর্থক ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, আজকের সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় অন্তত কয়েক হাজার ফেস্টুন আর ব্যানারে সরকারের উন্নয়নচিত্র উপস্থাপন করা হবে। সে অনুযায়ী, ব্যানার-ফেস্টুনসহ শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে থানা ও ওয়ার্ড নেতাদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.