জাতিসংঘ পূর্বাভাস দিয়েছে, এপ্রিলের মধ্যে চীনকে টপকে সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে যাচ্ছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে জার্মান সাময়িকী ডের স্পিগেল সম্প্রতি একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভারতীয়রা। ব্যঙ্গচিত্রে ভারতকে ‘অপমান’ করা হয়েছে অভিযোগ করে মন্ত্রীসহ অনেক ভারতীয় এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
ডের স্পিগেলে প্রকাশিত ব্যঙ্গচিত্রে দেখা যায়, ভারতীয় একটি জরাজীর্ণ ট্রেন। যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় ট্রেনে। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেকে ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিনের বাইরে কোনোমতে দাঁড়িয়ে আছেন। ভারতীয় ট্রেনটির পাশ দিয়ে যাচ্ছে চীনের দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন। ভারতীয় ট্রেন বুলেট ট্রেনকে অতিক্রম করে যাচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ব্যঙ্গচিত্রটির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে চীন যেখানে প্রযুক্তিগত দিকে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে ভারতের উন্নতি হচ্ছে শুধু জনসংখ্যায়।
তবে জার্মান সাময়িকীর এমন ‘মশকরা’ পছন্দ হয়নি ভারতীয়দের। এমন একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতীয়রা। তাঁদের অনেকেই টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সাময়িকীটি ভারত সম্পর্কে গৎবাঁধা ধারণায় আটকে রয়েছে। সাম্প্রতিক দশকগুলোয় ভারতের উন্নতি তাঁদের চোখে পড়ে না।
ব্যঙ্গচিত্রটি নিয়ে নিন্দা জানানোর তালিকায় বাদ পড়েননি দেশটির মন্ত্রী ও নেতৃস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারাও। তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর টুইট করেছেন, ‘ভারত নিয়ে আপনারা উপহাসের চেষ্টা করেন। এ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’ কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর আরও দাবি করেছেন, ‘আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারতের অর্থনীতির আকার জার্মানির অর্থনীতির চেয়েও বড় হবে।’
ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্ত ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের নিন্দা জানিয়েছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ব্যঙ্গচিত্রটি চরমভাবে বর্ণবিদ্বেষী।’ অন্য ভারতীয়রা বলছেন, ব্যঙ্গচিত্রটি ডের স্পিগেলের অভিজাত মানসিকতার প্রতিফলন। তবে সমালোচনা নিয়ে এখনো মুখ খোলেনি ডের স্পিগেল।