শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক এবং নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ইস্টার সানডে, বৈসাবি, নববর্ষ, জুমাতুল বিদা, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ (২৩ মার্চ) থেকে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে। অন্যদিকে একই উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি হবে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মনীষ চাকমা (পলিসি এবং অপারেশন) বলেছেন শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতি পূরণের জন্যই ১৫ রমজান পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ১৫ রমজান হলেও এই সময়ে কর্মদিবস আছে মাত্র ৯ দিন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তাদের অধীন বিদ্যালয়গুলোয় রমজান মাসে ক্লাসের সময়সূচি হবে সকাল নয়টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। আজ সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় এই সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
ঘোষিত ছুটি অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক এবং নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় বছরে ছুটি ৭৬ দিন। কলেজে বছরে ছুটি ৭১ দিন। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বছরে ছুটি ৫৪ দিন।
ঢাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক আজ বলেন, মাধ্যমিক, নিম্নমাধ্যমিক ও কলেজের সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি নিয়ে বৈষম্য আছে। সবার ছুটি একই থাকা উচিত ছিল। যদি খোলা রাখতে হয়, তাহলে সবার জন্যই খোলা থাকা দরকার ছিল। আর ছুটি দিলে সবার জন্যই একই সময় থেকে ছুটি থাকা দরকার ছিল।
ওই শিক্ষকের দাবি, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতির জন্য রমজান মাসের অর্ধেক পর্যন্ত খোলা রাখার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন অসংখ্য বিদ্যালয়ে প্রাথমিক স্তর রয়েছে (যেমন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ধানমন্ডি গভ. বয়েজ হাইস্কুল)। সেগুলোয় ঠিকই ছুটি থাকবে। তাহলে ওই সব বিদ্যালয়ের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের কি ঘাটতি পূরণ করা হবে না?
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরী বলেন, এই ছুটি পূর্বনির্ধারিত। চিন্তাভাবনা করেই মন্ত্রণালয় এই ছুটি নির্ধারণ করে থাকে।