ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার থেকে। গতকাল থেকে রাজধানীতেও শুরু হয়েছে বৃষ্টি। অনেকটা ফাঁকা রাজধানীতে যানবাহন চলাচল কম। আবার সেই সঙ্গে বৃষ্টি। এই দুইয়ের প্রভাব পড়েছে বাতাসে। ঢাকার বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস যানবাহন–কলকারখানার ধোঁয়া ও নির্মাণকাজে সৃষ্টি হওয়া ধুলো। ছুটির জন্য এসব উৎস অনেকটাই বন্ধ। এর সঙ্গে জুড়েছে বৃষ্টি। তাতে বাতাসের অবস্থা অনেকটা ভালো। আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ঢাকায় ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য।
বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০৭টি শহরের মধ্যে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার অবস্থান ৩৮তম। বাতাসের মান সূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) আজ এ সময় ঢাকার স্কোর ৫৫। বাতাসের এ মান মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয়।
আজ একই সময়ে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরটির স্কোর ২২৯। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের দুই শহর শিকাগো ও ডেট্রয়েট। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ১৭৪ ও ১৬৮।
আইকিউএয়ার সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান। তারা দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে।
বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
একিউআই ইনডেক্সে ‘ভালো’ মানের বায়ুর ক্ষেত্রে স্কোর শূন্য থেকে ৫০। স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারিতে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
