রান্নার গ্যাসের দাম একলাফে ২৬৬ টাকা বাড়ল

0
152
চলতি মাসে গ্রাহক পর্যায়ে ১২ কেজি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি)

বিইআরসি জানিয়েছে, ঘোষিত নতুন দর আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে। এর আগে জানুয়ারি মাসের ক্ষেত্রে দর ১২ কেজির সিলিন্ডারে ৬৫ টাকা কমানো হয়েছিল।

২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এ সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।

বিইআরসি জানায়, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি প্রায় ১২৫ টাকা, যা এত দিন প্রায় ১০৩ টাকা ছিল। গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার প্রায় ৭০ টাকা, যা এত দিন ৫৭ টাকার কিছু বেশি ছিল। সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম বাড়ানো হয়নি।

রাজধানীতে যেসব ভবনে সরকারি কোম্পানি তিতাসের সরবরাহ করা প্রাকৃতিক গ্যাস লাইনের সংযোগ নেই, সেসব ভবনের বাসিন্দারা এলপিজি ব্যবহার করেন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন শহর ও গ্রামে বিপুলসংখ্যক মানুষ এলপিজির ওপর নির্ভরশীল।

সরকার গত ১৮ জানুয়ারি প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ৮২ শতাংশ বাড়িয়েছে। তবে তখন বাসাবাড়িতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি। বাসায় ২ চুলার ক্ষেত্রে মাসিক বিল ১ হাজার ৮০ টাকা।

যাঁরা সরকারি গ্যাস পান না, তাঁদের বাড়তি খরচ করতে হয়। রাজধানীর শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা রওশন আরা বলেন, তাঁর পাঁচ সদস্যের পরিবারে মাসে দুই সিলিন্ডার এলপিজি লাগে। এতে খরচ হয় তিন হাজার টাকা। তিনি বলেন, গত মাসে তিনি প্রতি সিলিন্ডার (১২ কেজি) গ্যাস কিনেছেন দেড় হাজার টাকা দিয়ে। এখন ১ হাজার ৬৫০ টাকা চাইছে।

সরকার নির্ধারিত দামের বিষয়ে জানতে চাইলে রওশন আরা বলেন, সরকারি দাম বললে দোকানদারেরা অপমান করেন। তাঁরা বলেন সরকারের কাছ থেকে কিনতে। যদি দাম কার্যকর না-ই করবে, তাহলে নির্ধারণের মানে কী?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.