চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানি শুরু

0
7
খালেদা জিয়া

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার শুনানি গ্রহণ করেন।

এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেন তাঁর আইনজীবীরা।

আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে মামলার পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন ৩ নভেম্বর মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় আজ আপিল শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল। খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা, আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও মাকসুদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার।

শুনানিতে বিচারিক আদালতের রায়ের ঘটনাগত ও আইনগত অসংগতি তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শুনানির একপর্যায়ে আদালত জানতে চান, অন্য আসামিরা আপিল করেছেন কি না। করলে সেগুলো বিচারাধীন কি না? তখন দুদকের আইনজীবী জানান, অন্য আসামিরা আপিল করেছেন। সেসব আপিল বিচারাধীন। একসঙ্গে আপিলগুলো শুনানির কথা জানিয়ে আদালত আগামী বুধবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। গত ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.