চুয়াডাঙ্গায় একদিনের ব্যবধানে আবারও কমেছে তাপমাত্রা। শুক্রবার সকালে সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
জেলাটির উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হিমেল বাতাসের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। হিমেল বাতাসের কারণে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা বেশি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই হ্রাস পাচ্ছে তাপমাত্রা। বেশ কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৯৫ জন শিশুসহ সব বয়সের রোগী ভর্তি রয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ৪৫ জন রোগী। এদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
শীতের কারণে ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জীবিকার জন্য প্রতিদিন কাজে বের হতে হচ্ছে তাদের। মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে জনজীবনে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রতিদিন তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। তবে হিমেল বাতাস থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ভর্তি শিশু রোগী আসছে দু’শর মতো। আর শিশু ওয়ার্ডে ৫০-৬০ জন ভর্তি থাকছে। শিশুরা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।