চুলের বৃদ্ধিতে ড্রাই ফ্রুটস

0
185

লম্বা,ঘন কালো চুল অনেকের নারীরই পছন্দের। এজন্য চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই চুলের নানাবিধ সমস্যায় ভোগেন। যেমন-চুল ঝরা, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, কমবয়সে পাক ধরা, খুশকি ইত্যাদি। কেউ কেউ এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নানা ধরনের নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তারপরও এই  ধরনের সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় না। কিন্ত আপনি জানেন কি ড্রাই ফ্রুটস খেলে চুল বড় হওয়ার পাশাপাশি চুলের এই ধরনের  সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে ? পুষ্টিবিদরা বলছেন,  স্বাস্থ্যরক্ষার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে উপকারী ড্রাই ফ্রুটস।

ড্রাই ফ্রুটসে ভিটামিন (বি-কমপ্লেক্স, সি, ই), খনিজ পদার্থ (জিঙ্ক, সেলেনিয়াম), প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি (ওমেগা  ফ্যাটি অ্যাসিড) এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য উপকারী। চুলের বৃদ্ধির জন্য যেসব ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন-

কাঠবাদাম : কাঠবাদাম বায়োটিন, ভিটামিন ই এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এসব উপাদান চুলের ফলিকলগুলিকে উন্নত করে, চুলের শক্তি বাড়ায় এবং চুলের বৃদ্ধিকে সহায়তা করে।

খেজুর : চুলের যত্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে খেজুর। শুকনো খেজুরে আয়রন এবং ভিটামিন সি এর ভালো উৎস। এসব উপাদান চুলের বৃদ্ধি ও ঝলমলে ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুলের রুক্ষতা দূর করে। চুল ভাল রাখতে এ কারণে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি।

আখরোট : চুল ভালো রাখতে নির্ভর করতে পারেন আখরোটের উপর। আখরোটে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই উপাদান চুলে পুষ্টি জোগায় ও চুলের ঘনত্বও বাড়ায়ও। এ কারণে খাদ্যতালিকায় নিয়মিত আখরোট রাখা ভালো

কাজু বাদাম :চুলের বৃদ্ধিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কাজু বাদাম। এতে থাকা জিঙ্ক চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

কিশমিশ: কিশমিশ আয়রনের একটি প্রাকৃতিক উৎস। এই উপাদান মাথার ত্বকে সুস্থ রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.