চুয়াডাঙ্গা শহরের সিনেমা হল পাড়ায় জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলমের বাড়িতে দেওয়া আগুনে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় রাত সাড়ে আটটায় এ খবর লেখা পর্যযন্ত নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে অজ্ঞাত পরিচয় একদল লোক আরেফিন আলমের বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় আরেফিন আলম তাঁর ব্যক্তিগত শটগান দিয়ে একটি গুলি করেন। এরপর বেলা সাড়ে চারটার দিকে একদল লোক সেখানে আসে এবং বাড়ির ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায় ও ভাংচুর শুরু করে। ছয়তলা বাড়িটি ভাঙচুর চলাকালে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পুড়ে অঙ্গার হওয়া চার পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি কেউ।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাত সাড়ে আটটায় জানান, দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ভবনের চারতলায় চারজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। লাশ পুড়ে বিকৃত হওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে আরেফিন আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে বিক্ষুব্ধ জনতা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যযালয়, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলী মুনসুরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দীলিপ কুমার আগরওয়ালার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।
এ ছাড়া সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস ও তাঁর ভাই আকরামুল হক বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে ভাংচুর চালায়। বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর করা হয়।