ভারত ছাড়া আরও ৯টি দেশ থেকে ২১ হাজার ৫৮০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চীন থেকে ২ হাজার ৪০০ টন, মিসর থেকে ৩ হাজার ৯১০ টন, পাকিস্তান থেকে ১১ হাজার ৮২০ টন, কাতার থেকে ১ হাজার ১০০ টন, তুরস্ক থেকে ২ হাজার ১১০ টন, মিয়ানমার থেকে ২০০ টন, থাইল্যান্ড থেকে ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস থেকে ৪ টন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশে এসেছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন। ভারতের শুল্ক আরোপের পর দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়।
সরকারি হিসাবে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টনের মতো, যা উৎপাদনের চেয়ে কম। তবে উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে আমদানি করতেই হয়। আর এর বেশির ভাগই আসে ভারত থেকে। ২০১৯-২০ সালে ভারতে পেঁয়াজ সংকটের পর সে সময় বাংলাদেশে প্রতি কেজির দাম ২০০ টাকায় উঠেছিল। তখন বাজার সামাল দিতে মিয়ানমার, তুরস্ক, চীন ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল। এবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় চীন, জাপান, ইরান, মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে যাবে। তবে বাজার মনিটর করতে হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে শক্তভাবে। দেশে এখন হেক্টরপ্রতি ২০ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হয় জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের মূল মৌসুম হলো মার্চের শেষে ও এপ্রিলের প্রথম দিকে। সে সময় দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল, তাই বেশিদিন থাকলে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যদি ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে পারতাম, তাহলে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সমস্যা হতো না। বড় সমস্যা হচ্ছে পেঁয়াজ গুদামে রাখা যায় না। সে জন্য আমাদের প্রায় প্রতিবছর পেঁয়াজ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।