যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন। দেশ দুটির ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া। তাইওয়ানকে ঘিরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে চীনের বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালানোর পরপর যৌথ মহড়া শুরু করেছে ওয়াশিংটন ও ম্যানিলা।
চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যান। ক্যালিফোর্নিয়ায় তিনি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান ঘিরে তিন দিনের বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় বেইজিং।
চীনের এই সামরিক মহড়া শেষ হয় গতকাল সোমবার। এ মহড়া সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে চীনের সামরিক বাহিনী। একই সঙ্গে মহড়ায় প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশটির বিভিন্ন বাহিনীর সক্ষমতা যাচাই করে দেখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বেইজিং।
চীনের এই সামরিক মহড়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন গতকাল বলেন, এটা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ।
এর এক দিন পর আজ মঙ্গলবার যৌথ মহড়া শুরু করেছে ওয়াশিংটন ও ম্যানিলা। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের এই সামরিক মহড়ার তারিখ আগে থেকে নির্ধারণ করা ছিল।
গত ফেব্রুয়ারিতে ফিলিপাইনের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় দেশটির দ্বীপগুলোতে চারটি নৌঘাটি গড়বে ওয়াশিংটন। জলসীমা নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে ফিলিপাইনের। এর মধ্যে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এ চুক্তিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে।