চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলে যুক্তরাষ্ট্রের কত ক্ষতি হবে পারে

আল-জাজিরার এক্সপ্লেইনার

0
12
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে চীনের শিক্ষার্থীরা, ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত বুধবার ঘোষণা দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা ‘শিগগিরই’ বাতিল করতে যাচ্ছে।

এমন এক সময়ে এ পদক্ষেপের ঘোষণা এসেছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মধ্যে চলমান শুল্কযুদ্ধের অবসানে ওয়াশিংটন ও বেইজিং একটি বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের চীনবিরোধী রাজনীতিকেরা দীর্ঘদিন ধরেই দেশটির চীনা শিক্ষার্থীদের ওপর কড়া নজরদারির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, এই শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ গোপনে বেইজিংয়ের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারেন। তবে রুবিওর এ ঘোষণা হচ্ছে নির্দিষ্ট কোনো দেশের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া সবচেয়ে কড়া পদক্ষেপ।

চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এ সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নিতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিজের ওপরই–বা কেমন প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, ফাইল ছবি: রয়টার্স

রুবিও কী ঘোষণা দিয়েছেন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে রুবিও লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে, বিশেষ করে যাঁদের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংযোগ রয়েছে অথবা যাঁরা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ক্ষেত্রে পড়াশোনা করছেন।

কোন কোন বিষয়কে ‘গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র’ বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনো স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি। তবে গত মার্চে মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটি, পারডু ইউনিভার্সিটি, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় আরবানা-শ্যাম্পেইন, ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড ও ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিচালকের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। এতে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নত পর্যায়ের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও চিকিৎসাবিষয়ক প্রোগ্রামে কত চীনা নাগরিক পড়াশোনা করছেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

কমিটির চেয়ারম্যান জন মুলেনার অভিযোগ করেন, চীনের সরকার তাঁদের শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ গবেষণা প্রোগ্রামগুলোতে যুক্ত করে সংবেদনশীল প্রযুক্তি রপ্ত করে নিতে চাইছে।

মুলেনার চিঠিতে বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি একটি সুসংগঠিত ও পদ্ধতিগত উপায়ে গবেষকদের যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দিচ্ছে, যেখান থেকে তাঁরা সংবেদনশীল, দ্বৈত ব্যবহারে সক্ষম (সামরিক-বেসামরিক) প্রযুক্তির সরাসরি সংস্পর্শ পাচ্ছেন। অনেকে ডিগ্রি শেষ করার পর যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো পশ্চিমা দেশে থেকে যান।

চিঠিতে কমিটির চেয়ারম্যান লিখেছেন, ‘এই প্রবণতা উদ্বেগজনক। কারণ, দেখা যাচ্ছে, চীনা নাগরিকেরা অত্যাধুনিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে তা পরবর্তী সময়ে চীনে ফিরিয়ে নিচ্ছেন।’

‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংযোগ’ বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়েছে, সে বিষয় নিয়েও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও কিছু বলেননি। তিনি বলেন, চীন একদলীয় একটি রাষ্ট্র। সেখানে পার্টির সদস্যসংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। চীনে মোট প্রায় ৪০ কোটি পরিবার রয়েছে। ফলে গড়ে প্রতি চারজন চীনা নাগরিকের একজনের কোনো না কোনো ঘনিষ্ঠ আত্মীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটেও একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, যার শিরোনাম হচ্ছে, ‘নতুন ভিসা নীতি আমেরিকাকে অগ্রাধিকার দেয়, চীনকে নয়।’

এই বিবৃতিতে রুবিও আরও বলেন, ‘আমরা ভিসার মানদণ্ড পুনর্বিন্যাস করব এবং ভবিষ্যতে চীন ও হংকং থেকে করা সব আবেদন আরও কঠোরভাবে যাচাই করব।’

রুবিওর এ বিবৃতির আগের দিন খবর বের হয়, রুবিও বিশ্বের সব মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটে একটি চিঠি দিয়েছেন, যাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সব দূতাবাসে ভিসা সাক্ষাৎকার স্থগিত করেছে। পররাষ্ট্র দপ্তর আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া আরও বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে।

চীনের প্রতিক্রিয়া কী

বেইজিং ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের কড়া নিন্দা জানিয়েছে এবং একে ‘রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মতাদর্শ ও জাতীয় নিরাপত্তার’ অজুহাত দেখিয়ে অযৌক্তিভাবে চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করেছে। চীন এ পদক্ষেপের কঠোর বিরোধিতা করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

মাও নিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ পদক্ষেপ ‘চীনা শিক্ষার্থীদের অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে’ এবং ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের মধ্যে স্বাভাবিক সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

মাও নিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কথিত স্বাধীনতা ও উদারতার প্রচার আসলে একটি মিথ্যা। তাদের এ রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক আচরণ সেই সত্যকেই সামনে এনেছে।

এই মুখপাত্র আরও বলেন, এ পদক্ষেপ ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিজের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি, জাতীয় ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে’ আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে কত চীনা শিক্ষার্থী

ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন (আইআইএ) ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘ওপেন ডোরস’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯৮ চীনা শিক্ষার্থী ভর্তি ছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট বিদেশি শিক্ষার্থীর ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। ওই শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ১১ লাখ ৩০ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী ছিলেন।

ওপেন ডোরসের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ভারতীয় শিক্ষার্থীরাই সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছেন। ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো ভারত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে চীনের স্থান দখল করেছে।

কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা শিক্ষার্থী বেশি

২০২৩ সালে কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে চীনের শিক্ষার্থীর হার ছিল ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে এই হার ছিল ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ, অর্থাৎ মোট বিদেশি শিক্ষার্থীর অর্ধেকের বেশি। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সব সময় শীর্ষে থাকে চীন। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২৭ হাজার ২৪৭ বিদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ হাজার ৭২ জনই ছিলেন চীনের।

ডিউক ইউনিভার্সিটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে তাদের প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছিলেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে চীন ও ভারত থেকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি শিক্ষার্থী এসেছে।

নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, তাদের বিদেশি শিক্ষার্থীদের অর্ধেকই চীনের।

গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর ঘোষণার পর নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির স্নাতক শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্দেশে একটি খোলাচিঠি লেখে, যাতে গত মার্চে চীনা শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়ে কংগ্রেস কমিটির করা অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে বলা হয়।

এই শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে কত রাজস্ব আনছেন

টিউশন ফি ও অন্যান্য ব্যয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শত শত কোটি অর্থ আয় করে থাকে। এসব শিক্ষার্থী স্থানীয় অর্থনীতিতেও বিরাট ভূমিকা রাখেন।

আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিষয়ক অলাভজনক সংস্থা এনএএফএসএর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ৪ হাজার ৩৮০ কোটি মার্কিন ডলার যোগ করেছেন। এ ছাড়া ৩ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করেছেন।

২০২৪ সালের নভেম্বর এনএএফএসএর প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, এটিই এখন পর্যন্ত তাদের হিসাব করা সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক প্রভাব।

এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ১১ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। গড়ে একজন বিদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বছরে ৩৯ হাজার ৮০০ ডলার অবদান রাখেন।

এ হিসাবে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯৮ চীনা শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের বেশি অবদান রেখেছেন।

স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখেন। ২০২২ সালের একটি বিশ্লেষণ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের যেসব স্টার্টআপ রয়েছে, তার অনেকগুলো বিদেশি শিক্ষার্থীরা করেছেন।

চীনা স্নাতকদের যুক্তরাষ্ট্রে অবদান কতটা

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা শেষ করার পর বিদেশি শিক্ষার্থীরা দেশটির উদ্ভাবন বা নতুন কিছু তৈরির কাজে অসামান্য ভূমিকা রাখেন। ২০২২ সালে ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসির (এনএফএপি) এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ১০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের স্টার্টআপগুলোর ৫৫ শতাংশই অভিবাসী শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

২০০০ সাল থেকে পিএইচডি গবেষক, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে পিএইচডি করা ৫০ হাজারের বেশি চীনের ছাত্র যুক্তরাষ্ট্রে থেকে গেছেন। তাঁরা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অংশ নিচ্ছেন এবং এমন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেগুলোর সম্মিলিত বাজারমূল্য ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার কোটি ডলার।

এনইএপির তথ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১টির বাজারমূল্য বিলিয়ন ডলারের বেশি, এগুলোকে ‘ইউনিকর্ন’ও বলা হয়।

এ ধরনের উল্লেখযোগ্য একটি ইউনিকর্ন কোম্পানি হলো ‘Pony.ai’। এটি স্বয়ংক্রিয় গাড়ির প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠান। এটি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে নাসদাক স্টক এক্সচেঞ্জে এ প্রতিষ্ঠানের বাজারমূল্য ৬৪০ কোটি ডলার। এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন জেমস পেং এবং লৌ তিয়ানচেং। দুজনই চীনের বেইজিংভিত্তিক বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় চিংহুয়া ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সহপ্রতিষ্ঠাতা পেং যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন।

আরেকটি প্রতিষ্ঠান হলো ‘Weee’। এটি অনলাইনে এশীয় মুদিপণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান। এনএফএপির তথ্য অনুযায়ী, এ প্রতিষ্ঠানের বাজারমূল্য ৪১০ কোটি ডলার। এটি প্রতিষ্ঠা করেন লারি লিউ। তিনি চীন থেকে এসে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ডেভিস থেকে এমবিএ (ব্যবসায় প্রশাসন) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি স্নাতক করেছিলেন চীনে।

আল জাজিরা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.