বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর সিদ্ধান্ত কানাডার

0
78
কানাডা

অর্থনীতি সচল রাখতে এবং ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য অভিবাসীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা। তবে, বর্তমানে আবাসন সংকট বেড়ে যাওয়ার জন্য অভিবাসী ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের দায়ী করা হচ্ছে দেশটিতে। এ নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখেও রয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।

আবাসন সংকট মোকাবিলায় তাই এবার বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার স্থানীয় একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

কানাডায় ক্রমবর্ধমান বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি বিরক্তিকর। সত্যিই এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

তবে, কানাডার সরকার কী পরিমাণ বিদেশি ছাত্র কমানোর পরিকল্পনা করছে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি মিলার। এ বিষয়ে জানতে তার মুখপাত্রের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কাজের অনুমতি পাওয়া তুলনামূলক সহজ হওয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য কানাডা। দেশটির সরকারি তথ্যমতে, ২০২২ সালে সক্রিয় ভিসাসহ কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল আট লাখেরও বেশি, যা ২০১২ সালে ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৫ হাজার জন। অর্থাৎ, এক দশকে ৫ লাখেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী কানাডায় প্রবেশ করেছে উচ্চশিক্ষার জন্য।

এর আগে গত আগস্টেই বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর পরিকল্পনার কথা সামনে এনেছিল দেশটির লিবারেল সরকার। তবে সেসময় অভিবাসন মন্ত্রী শন ফ্রেজার বলেছিলেন, সরকার এই পথ অনুসরণ করবে কি না সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরে বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য খারাপ খবর দিয়েছিল কানাডা। দেশটিতে পড়তে যাওয়ার জন্য খরচ একলাফে দ্বিগুণ করে ট্রুডো সরকার। আগের তুলনায় এখন ব্যাংকে দ্বিগুণ অর্থ দেখাতে হচ্ছে কানাডায় পড়তে ইচ্ছুক বিদেশি শিক্ষার্থীদের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.