রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় ছেঁড়া টাকা দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে একদল ক্রেতার এলোপাতাড়ি মারধরে এক ফাস্ট ফুড দোকানির মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ফাস্ট ফুড দোকানি হাফিজুল ইসলামকে (২৭) হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। হাফিজুলের মৃত্যুর ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে গতকাল রাতে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হাফিজুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর লাশ সোহরাওয়ার্দী কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ জানায়, হাফিজুলের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর ভাই সজীব মিয়া একটি মামলা করেছেন। হত্যা মামলাটি হওয়ার পরই বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। হাফিজুলকে মারধরে জড়িত থাকার অভিযোগে আসাদুজ্জামান চয়ন (২৭) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হাফিজুলদের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুর থানার তেলিয়া মধ্যপাড়া গ্রামে। বাবার নাম আবদুল হান্নান। হাফিজুল মিরপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় একটি ফাস্ট ফুডের দোকান চালাতেন।
হাফিজুলের ছোট ভাই সজীব মিয়ার ভাষ্য, তিনি জানতে পেরেছেন, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে আসাদুজ্জামান চয়ন, মো. তারেকসহ তিন-চারজন ব্যক্তি তাঁর ভাইয়ের দোকানে আসেন। তাঁরা দোকান থেকে চিকেন ফ্রাই কেনেন। দাম বাবদ ১০০ টাকার একটি নোট দেওয়া হয়।
নোটটি ছেঁড়া থাকায় তা বদলে দিতে বলেন হাফিজুল। নোট বদল না করে আসাদুজ্জামানরা তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা হাফিজুলকে এলোপাতাড়ি চড়থাপ্পড়, কিল-ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন। এতে হাফিজুল জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মিরপুরের আজমল হাসপাতাল নিলে যান। পরে তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাফিজুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার অন্য আসামিদের ধরতে চেষ্টা চলছে বলে জানায় মিরপুর মডেল থানার পুলিশ।