চার দিন বন্ধ থাকার পর বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু

0
5
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হয়েছে

চার দিন পুরোপুরি বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১ নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুবকর সিদ্দিক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উত্তোলনকৃত কয়লা ব্যবহার করে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। কয়লাভিত্তিক এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১নং ও ২নং ইউনিট মিলে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২৫০ মেগাওয়াট। ৩ নম্বর ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা সম্পন্ন।

এদিকে ২নং ইউনিট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। শুধু সচল ছিল ১নং ও ৩নং ইউনিট, যা থেকে প্রায় ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হয়। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩ নম্বর ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু চালু ছিল এক নম্বর ইউনিট। সেই ইউনিটে বয়লারে লিকেজ হওয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১নং ইউনিটটিও বন্ধ করা হয়। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। বিদ্যুকেন্দ্রটি চার দিন পুরোপুরি বন্ধ থাকার পর মেরামত শেষে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুবকর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চলমান ১২৫ মেগাওয়াটের ১ নম্বর ইউনিট বয়লারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের সচল ৩নং ইউনিটও একই কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মেরামত শেষে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিট চালু করা সম্ভব হয়েছে। তবে ৩ নম্বর ইউনিটের মেরামত কাজ চলমান রয়েছে, আশা করা যায় দ্রুত সেটি চালু করা সম্ভব হবে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.