গত রোববার রাত ১২ থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৩৩টি যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়েছে। এ সময় সেতুর টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১৭ থেকে ১৮ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। ঈদের কারণে গত রোববার থেকে এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তারপর প্রতিদিনই যানবাহন বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকে। তবে আজ সকাল থেকে যানবাহনের চাপ কমতে শুরু করেছে।
টোল প্লাজা সূত্র জানায়, বুধবার রাত ১২টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ৩২ ঘণ্টায় ৫৬ হাজার ১২৮টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এর মধ্যে পূর্ব প্রান্ত থেকে (টাঙ্গাইল প্রান্ত) উত্তরবঙ্গের দিকে যায় ৩৭ হাজার ১৮৪টি যানবাহন। উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে পার হয় ১৮ হাজার ৯৪৪টি যানবাহন। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজার ২০০ টাকা।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৬৯টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৭১ লাখ ৯৫ হাজার ৪০০ টাকা। গত সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩০ হাজার ২৫১টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৫৫০ টাকা। গত রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২২ হাজার ৪৮৫টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় ২ কোটি নয় লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা।
পুলিশ সূত্র জানায়, অন্যবারের তুলনায় এবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তেমন যানজট হয়নি। ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় এবং এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক একমুখী যান চলাচলের ব্যবস্থা করায় যানজট এড়ানো গেছে।
আজ দুপুরে সরেজমিন টাঙ্গাইল থেকে সেতু পর্যন্ত দেখা যায়, মহাসড়কে তেমন যানবাহনের চাপ নেই। নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করছে। এলেঙ্গা গ্যাস স্টেশনে বগুড়াগামী মাইক্রোবাসের যাত্রী শফিকুল ইসলাম বলেন, চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে তেমন অসুবিধা হয়নি। স্বাভাবিক সময়ের মতো এক ঘণ্টায় এ পথ পাড়ি দিতে পেরেছেন।
হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদ হাসান জানান, রাতে সেতু ওপর একটি গাড়ি বিকল হওয়ায় সেতু এলাকায় কিছুটা যানজট হয়েছিল। সকালের মধ্যেই সে জট কেটে যায়। দুপুরের দিকে যানবাহনের চাপ কমে আসে।