আবু হানিফ আর সাফুরা খাতুন (দুজনেরই ছদ্মনাম) পিঠাপিঠি ভাইবোন। ৫০ বছর আগে আমের মাসে তাঁদের মা দুনিয়া ছেড়ে চলে যান। তখন তাঁরা সবে স্কুলে লেখাপড়া করছিলেন। এখন তাঁরা বড় হয়েছেন। তবে মাকে ভোলেননি।
প্রতিবছর বাংলা জষ্ঠি (জ্যৈষ্ঠ) মাসের ৫ তারিখে রাজধানীর উত্তরার সাফুরা আর নীলক্ষেতের আবু হানিফ একসঙ্গে এক বাসে বাড়ি যান। পরদিন মায়ের কবর জিয়ারত আর দোয়াখায়ের করেন। এবারও তাঁরা গিয়েছিলেন দেশের বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দ্বারিয়াপুরে। কাছের এক মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশুরা প্রতিবছরের মতো এবারও দল বেঁধে তাঁদের দোয়া মাহফিলে এসেছিল।
আবু হানিফ লক্ষ করেন, এবার কয়েকটি শিশু এসেছে যারা আদতেই একেবারে শিশু। বাকিরা গায়ে–গতরে বড় হলেও না-খাওয়া না-খাওয়া চেহারা। তিনি শিশুদের এগিয়ে দেওয়ার অজুহাতে তাদের সঙ্গে মাদ্রাসায় যান। সেখানে মাদ্রাসার প্রধানের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলাপ করেন। কথায় কথায় শিশুদের এমন কাহিল চেহারার কারণ জানতে চাইলেন। মাদ্রাসা প্রধান এ জন্য আর্থিক অনটনকে দায়ী করলেন। জানালেন, অর্থাভাবে ছাত্রদের জন্য ভালোমন্দ খাবারের ব্যবস্থা তাঁরা করতে পারেন না।
সবকিছুর দাম বাড়লেও চামড়ার দাম গত এক দশকে কমে অর্ধেক হলো কেন
অর্থাভাবের যে কারণ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বললেন, তাতে আবু হানিফ কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন। অধ্যক্ষ বললেন, অর্থাভাবের বড় কারণ কোরবানির চামড়ার দাম পড়ে যাওয়া। এতিমখানার ৭০ ভাগ আয়ের উৎস কোরবানির পশুর চামড়া। চামড়া থেকে আগে যেখানে বছরে লাখ টাকা আয় হতো, এখন সেখানে হাজার টাকাও হয় না।
অধ্যক্ষ বললেন, ২০১২-১৩ সালের দিকে চার-পাঁচ মণ ওজনের কোরবানির গরুর চামড়া বিক্রি করতেন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। গরু আরও বড় হলে অর্থাৎ ছয়-সাত মণ হলে সেই চামড়া বিক্রি হতো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এখন সেই চামড়ার দাম হয়ে গেছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। খুব বেশি হলে ৭০০ টাকা। ২০১৬-১৭ সাল থেকে চামড়ার দাম বেশি মাত্রায় কমতে শুরু করেছে। ফলে অর্থাভাবে শিশুদের পাতে এখন কেবলই সবজি–ডাল দেওয়া হয়।
কোথাও কখনো দাওয়াতে গেলেই শিশুদের পেটে কেবল মাছ-মাংস-ডিম পড়ে। আগে আড়তদারেরা লোক পাঠিয়ে নগদ দামে চামড়া কিনতেন। এখন ভ্যান ভাড়া করে পৌঁছে দেওয়ার পরেও টাকা বকেয়া থাকে। তাগাদা দিতে দিতেও মেলে না চামড়ার টাকা।
অধ্যক্ষের কথা শুনে আবু হানিফ ফোনে কথা বলেন মাগুরার নতুন বাজারের এক আড়তদারের সঙ্গে। ওই ব্যবসায়ী গ্রামের সম্পর্কে তাঁর মামা। তিনি জানালেন, ট্যানারির মালিকেরা গত ঈদের আগে বকেয়া পরিশোধ না করায় চামড়া কিনতে পারেননি।
ফলে যাঁরা গতবার চামড়া রেখে গিয়েছিলেন, তাঁদের সব টাকা দিতে পারেননি। মাদ্রাসার টাকা তাঁরা মেরে খাবেন না। ট্যানারি থেকে টাকা এলেই দিয়ে দেবেন।
ওই ব্যবসায়ী আফসোস করে বলেন, ‘ট্যানারিমালিকেরা কম সুদে ব্যাংকঋণ পেলেও আমাদের মতো আড়তদারেরা বঞ্চিত থেকে যান। সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দিলেও কিছু একটা হতো। এবার মনে হয় ব্যবসা হবে।’
এবারও ব্যবসা হয়নি
গত বছরের তুলনায় এবার লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬ শতাংশ বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার সরকার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫-৪৮ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। গত বছর এই দাম ছিল ঢাকায় ৪৭-৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০-৪৪ টাকা। গত বছর ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা, যা এবারও একই ছিল।
চামড়ার দাম ধরে রাখতে ঈদের পরবর্তী সাত দিন ঢাকার বাইরে থেকে চামড়া না আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোথাও চামড়ার সরকার নির্ধারিত দাম পাওয়া যায়নি। ছাগলের চামড়া তো অনেক জায়গায় কেউ কেনেইনি। মাগুরা, নওগাঁ, নাটোর, যশোরের রাজারহাটসহ বিভিন্ন এলাকার আড়তদারদের একটাই কথা, ওঁরা (ট্যানারির মালিকেরা) তাঁদের টাকা আটকে রেখেছেন। শুধু নওগাঁর ব্যবসায়ীদেরই ১০ কোটি টাকা আটকে আছে ঢাকার মহাজন আর ট্যানারিমালিকদের কাছে (প্রথম আলো, ২৮ জুন ২০২৩)।
একদিকে টাকা বকেয়া, অন্যদিকে চামড়া সংরক্ষণের মূল উপকরণ লবণের মূল্যবৃদ্ধি—এই দুই অজুহাতে চামড়ার সরকার নির্ধারিত দাম দেননি স্থানীয় খুচরা ক্রেতারা। নওগাঁসহ দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোর ব্যবসায়ীরা চামড়ায় লবণ মাখিয়ে নাটোরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আড়তে পাঠান। আবার কেউ কেউ ঢাকার ট্যানারিতে পাঠায়। লবণের দাম প্রতি বস্তায় বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। ফলে এবার চামড়া সংরক্ষণের খরচ বেড়েছে। পরিমাণমতো লবণ না দিলে চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সব ট্যানারি ঢাকায় আর চামড়ার ট্রাকের জন্য ঢাকা ঈদের পরের সাত দিন নিষিদ্ধ নগরী।
কোরবানি কম, তবু প্রভাব নেই
ট্যানারিমালিকদের অনেকেই বলেন, দেশে চামড়া উৎপাদন আগের তুলনায় বহুগুণে বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগান বাড়লে দাম তো কমবেই। কিন্তু এবার চাহিদার তুলনায় সাড়ে তিন লাখের বেশি প্রাণী কোরবানি থেকে বাদ পড়েছে। সম্ভাব্য জোগান বাজারে যায়নি। এরপরও দামে প্রভাব পড়েনি।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছিলেন, এবার ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কোরবানি হয়েছে ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি প্রাণী। সেই হিসাবে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯২৭টি পশু কম কোরবানি হয়েছে।
বলা হয়, সারা বছর বাজারে আসা মোট চামড়ার ৬০ শতাংশই আসে কোরবানির ঈদে। কোরবানির জন্য প্রাণীগুলো খুব যত্নে লালন-পালন করা হয়। তাই এসব প্রাণীর চামড়ার মান ভালো। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) কর্তারাও স্বীকার করেন, ঈদুল আজহার সময় ভালো মানের পশুর চামড়া পাওয়া যায়।
গরুর চামড়ার ক্রেতা থাকলেও ছাগলের চামড়ার প্রতি কোনো ক্রেতার আগ্রহ নেই। দেশে যেসব ট্যানারি ছাগলের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করত, সেগুলোর বেশির ভাগই নাকি বন্ধ হয়ে গেছে। ট্যানারিমালিকদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারেও ছাগলের চামড়ার চাহিদা কমে গেছে। ফলে অনেক বিক্রেতা ছাগলের চামড়া ফেলে দিয়েছেন কিংবা নামমাত্র মূল্যে বেচে দিয়েছেন। তাহলে প্রায় ৫৫ লাখ ছাগল বা ভেড়া যে কোরবানি হলো, সেগুলোর চামড়া কোনো কাজেই আসবে না? সঠিক দাম পেলে ছাগল বা ভেড়ার চামড়া থেকেই কয়েক কোটি টাকা এতিমেরা পেত।
সিলেট সিটির উদ্যোগ সম্ভাবনা দেখিয়েছিল
২০২০ সালে ন্যায্য দাম না পেয়ে সিলেটে যত্রতত্র চামড়া ফেলে দেয় মানুষ। এতে সিলেট মহানগরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পরের বছর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের (কাঁচা চামড়া লবণ মাখিয়ে সংরক্ষণ) ব্যবস্থা করেন। অস্থায়ী প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে যে কেউ চামড়া নিয়ে গেলে বিনা খরচে সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে দেয় সিটি করপোরেশন। সেবার সিলেটে পাইকারেরা বিক্রেতাদের কম দামের ফাঁদে ফেলতে পারেননি। নগরীও চামড়ার বর্জ্যে সয়লাব হয়নি।
জাতীয় সম্পদ চামড়া সংরক্ষণ, বিক্রয়-বিপণন সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি এতিমদের পাশে দাঁড়ানোর সিলেট সিটির এই উদ্যোগ সবার নজর কেড়েছিল। মেয়র আরিফ ক্ষমতাসীন দলের হলে হয়তো এটাই অন্য সব মেয়রের কাছে মডেল হয়ে উঠত। বাস্তবে তাঁর এই মহৎ উদ্যোগ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে। ওই সিন্ডিকেট লবণ কিনতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। মেয়র অভিযোগ করেছিলেন, চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের কথা বলে লবণ কেনা যায়নি।
সেবার পরিকল্পিতভাবে ১০ হাজার ৩২৯টি চামড়া সংরক্ষণ করে করপোরেশন। শ্রমিক ও লবণসংকট, পরিবহন সমস্যাসহ নানা বাধা পেরিয়ে ট্যানারিতে চামড়া পৌঁছাতে হয়। এরপর অর্থ পেতেও বেগ পোহাতে হয়।
গত ১০ মে উদ্যোগটির অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফুল হক বলেন, চামড়ার টাকা পাওয়া ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের হাতে তা তুলে দেওয়া অনিশ্চিত পড়ে গিয়েছিল।
নিজে বারবার ধরনা দিয়ে টাকা সংগ্রহ ও ভর্তুকি দিয়ে শেষ পর্যন্ত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে ২৩ লাখ ৩ হাজার ৯৯৮ টাকা তুলে দিয়েছিলেন। ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি অব্যাহত রাখাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ, পুরো চামড়াশিল্প একটি সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।
কেন চামড়ার দাম কমছে
ট্যানারিমালিকদের সংগঠন বিটিএ বলছে, ২০১৬ সালের পর বাংলাদেশ থেকে চামড়া রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় চামড়ার চাহিদা কমে গেছে। তার আগে ক্রেতাদের মধ্যে ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
এসব ‘কমপ্লায়েন্ট’ বা নীতি সংবেদনশীল ক্রেতা দূষণ সৃষ্টিকারী কারখানার মালামাল কেনা বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। এখন দেশের চামড়ার প্রধান ক্রেতা নন-কমপ্লায়েন্ট ক্রেতারা। তারা দামও দেয় অনেক কম।
ট্যানারিমালিকেরা বলছেন, বর্তমানে দেশের চামড়া রপ্তানির একটা বড় বাজার চীন ও হংকং। তবে চীন বেশ কম দামে চামড়া কিনছে। আবার চীনে নাকি চামড়ার চাহিদা অভ্যন্তরীণভাবে কমে গেছে। বর্তমানে কৃত্রিম চামড়া ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চামড়ার চাহিদা ক্রমেই কমছে।
উপায় কি কিছু আছে
চামড়াজাত পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপ। সেখানে রপ্তানির জন্য ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশনের (আইএসও) সনদ এবং লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) পরিবেশ সনদ লাগে। কিন্তু আমরা সেদিকে হাঁটছি না। আমরা তাড়াহুড়ো করে অপ্রস্তুত অবস্থায় হাজারীবাগ থেকে সাভারে চলে গেছি। সেখানে পরিবেশবান্ধব চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা থাকবে বলা হলেও শেষমেশ কিছুই হয়নি।
২০০৩ সালে চামড়াশিল্প নগর নির্মাণের কাজ শুরু হলেও এখনো পুরোপুরি কার্যকর তরল ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হয়নি। ফলে ট্যানারিশিল্পের সামগ্রিক উৎপাদন প্রক্রিয়াটি পরিবেশগত সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারেনি। এ কারণে ইউরোপের বাজার ধরা এখন আমাদের জন্য স্বপ্নমাত্র।
আমাদের চেষ্টা করা উচিত চামড়াশিল্পের কমপ্লায়েন্স অর্থাৎ এটাকে পরিবেশবান্ধব করতে আন্তর্জাতিক শর্ত পূরণের চেষ্টা করা। সব না হোক, গোটা ত্রিশেক ট্যানারি ‘এলডব্লিউজি সার্টিফায়েড’ করা গেলেও পরিস্থিতি এত খারাপ থাকবে না। সাভারে সফল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে আমাদের চামড়াশিল্পের নবজন্ম অথবা চিরমৃত্যু।
লেদার টেকনোলজির বাঙালি অধ্যাপক যুক্তরাজ্যের নর্দাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র গাজি হামিদ বছর কয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বানতলা চামড়াশিল্প কমপ্লেক্সে যান। তাঁর মতে, ‘আমরা হাজার কোটি টাকা খরচ করে সাভারে যেটা করতে পারিনি, পশ্চিম বাংলা কম খরচে সেটা করে ফেলেছে। ভারতে এলডব্লিউজির সদস্য প্রতিষ্ঠান এখন ১৩৯টি। যার বেশির ভাগই কলকাতার বানতলা লেদার কমপ্লেক্সের।
১৯৯৬ সালে ১ হাজার ১৫০ একর জমির ওপর এম এল ডালমিয়া অ্যান্ড কোম্পানির নেতৃত্বে কলকাতার বানতলায় প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স। হাজারীবাগের প্রায় ৫০ বছর পর প্রতিষ্ঠিত বানতলা এখন ভারতের মোট রপ্তানি চামড়ার ৫০ শতাংশ জোগান দিচ্ছে। আমাদের অবহেলা কি শেষ পর্যন্ত আমাদের বানতলার কাঁচামাল সরবরাহকারীতে পরিণত করবে?
- গওহার নঈম ওয়ারা লেখক ও গবেষক। ই–মেইল: nayeem5508@gmail.com