চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল চারটায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। তবে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে সারিতে অপেক্ষমাণ ভোটাররা বিকেল চারটার পরও ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ভোটগ্রহণ শেষে এখন ফলাফলের অপেক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা অবস্থান করছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. মনির উদ্দিন বলেন, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে বিকেল চারটায় শেষ হয়েছে। এখন কেন্দ্র থেকে ব্যালটগুলো পৃথক করে ডিন কার্যালয়ে নেওয়া হবে। এরপর সেখানে ক্যামেরার সামনে ভোট গণনা করা হবে।
এবারের নির্বাচনে দিনভর ভোটারদের মাঝে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা ছিল। তবে সই ছাড়া ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়া, অমোচনীয় কালি ওঠে যাওয়াসহ নির্বাচনে ভোটগ্রহণে অব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করে ছাত্রদলসহ কয়েকটি প্যানেল।
এক ছাত্রীর ভোট আরেকজন দিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
চাকসু নির্বাচনে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার দুপুরে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২৩৫ নম্বর কক্ষে এক ভোটার এই অভিযোগ করেন।
মিফতাহুল জান্নাত নামের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ওই ভোটার সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন, তিনি ভোট দিতে এসে দেখেন তাঁর ভোট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর ভোটার নম্বর ১৬০৭।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাহসিন উল আবেদিন বলেন, মিফতাহুল জান্নাত নামের আরেক যে ভোটার সকালে ভোট দিতে এসেছেন তাঁর পরিচয়পত্র ও চেহারায় মিল ছিল। তাই পোলিং এজেন্টরা কেউ আপত্তি করেননি।
পরে দুপুরের দিকে মিফতাহুল জান্নাত নামে আরেক ভোটার এলে তাঁকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এই নামে একজন ভোট দেওয়ায় তাঁকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
সঠিক ভোটার কে প্রশ্ন করা হলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলেন, ছবির সঙ্গে চেহারায় মিল না থাকলে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।