সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
বুধবার (২ অক্টোবর) চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান তিনি।
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে অনেকদিন ধরে একটি আন্দোলন চলছে, এটি সমাধানে যৌক্তিক প্রতিবেদন দেওয়ায় আমাদের কমিটির ফোকাস।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
‘কী যৌক্তিকতা আছে?’ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোভিড, সেশনজটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত।তবে কতটুকু বাড়ানো দরকার, এটা আমি আজ বলতে পারছি না। আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো কতটুকু বাড়ানো যায়।’
প্রসঙ্গত, চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন। গত সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই দিনই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়।
সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।