চাঁদপুরে সরগরম ইলিশের আড়ত

0
19
ইলিশের আড়ত
ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে রোববার মধ্য রাতে। এরপরই চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে নামেন জেলেরা। নদী থেকে ধরে আনা ইলিশ বিক্রি করার জন্য তারা নিয়ে আসছেন উপকূলীয় আড়তে। ফলে পুরোনো রূপে ফিরেছে ইলিশের আড়তগুলো। ক্রেতা-বিক্রেতায় হয়ে উঠেছে সরগরম।
 
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালেও চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট গিয়ে দেখা গেছে আড়তগুলোতে ইলিশ নিয়ে আসছেন জেলেরা। আবার অনেক জেলে নৌকা ও জাল নিয়ে পদ্মা-মেঘনায় বেরিয়ে পড়ছেন।
 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরফ ছাড়া এসব ইলিশ জেলেদের উপস্থিতিতে হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি করছেন আড়তদাররা। মুহূর্তের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ইলিশ। সরগরম বাজারে ক্রেতাদের ভিড় ছিল অনেক বেশি।
 
ইলিশ কিনতে আসা স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘হরিণা মাছঘাটের ইলিশে কোনো ভেজাল নেই। ছোট বড় ১৩ হাজার টাকার ইলিশ কিনেছি। দামও কম পেয়েছি।’
 
ঘাটের আড়তদার সেলিম সৈয়াল বলেন, ‘আমাদের এই ঘাটে ইলিশ হালিতে বিক্রি হয়। ছোট সাইজের একহালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। মাঝারি সাইজের (৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজন) এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০টাকা। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকা।’
 
ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ইলিশ পরিভ্রমণশীল মাছ। বছরজুড়েই ইলিশ ডিম ছাড়ে। কিন্তু এই সময়টাতে সাগর থেকে ডিম ছাড়ার জন্য মিঠা পানিতে আসে। তবে ইলিশের চলার পথ সুগম করলে নদীতেও বছরজুড়ে ইলিশ পাবেন জেলেরা।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.