ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার জেরে চরম আকার ধারণ করেছে দুদেশের মধ্যকার উত্তেজনা। ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি। এ অবস্থায় জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।
রোববার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাত থামাতে সোমবার (১৬ জুন) সকালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আইএইএর সদরদপ্তরে বৈঠকটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএর খবরে বলা হয়েছে, দেশটির পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার পর দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগে জরুরি বৈঠক ডাকার জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে রাশিয়া এবং ভেনেজুয়েলা। সেই প্রেক্ষিতেই সোমবার জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে সংস্থাটি।
এদিকে, ইসরায়েলের হামলায় মাত্র দুইদিনে ইরানে অন্তত ১২৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৯০০ জন। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ইরানে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, তেহরানের একটি ভবনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জনই শিশু। ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর বলেছেন, সেখানে ইসরায়েলি হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের ৩০ জনই সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং একজন ইরানি রেড ক্রিসেন্ট কর্মী।
ইরানের রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশে একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় অ্যাম্বুলেন্সের দুই কর্মী নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত দু’দিন আগে বলেছিলেন, ইসরায়েলি হামলায় ৭৮ জন নিহত ও ৩২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, শুক্রবার ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন ইরানে। তবে, তিনি মোট মৃত্যুর সংখ্যা জানাতে পারেননি।