ভারতের এনডিটিভি জানায়, রকেটের ইতিহাসে নাসার আর্টেমিস–১–এর মতো শক্তিশালী রকেট আর তৈরি হয়নি। তবে এ রকেটটি উৎক্ষেপণে বেশ কিছু কারিগরি জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছিল নাসাকে। তবে সব বাধা দূর করে গতকাল নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে গেছে আর্টেমিস–১ মিশনের পাঠানো ‘ওরিয়ন’ নামের একটি ক্যাপসুল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, রকেটটি যতদূর পর্যন্ত গেছে, তা নভোচারী বহনে সক্ষম কোনো নভোযানের জন্য রেকর্ড। এটি পৃথিবী থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে চাঁদকে ছাড়িয়ে গেছে। প্রায় ছয় সপ্তাহের এ মিশনটিতে চাঁদ পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করবে ওরিয়ন।
নেচার ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্টেমিস–১ মিশনে ওরিয়ন নামের যাত্রীবিহীন যে ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে, তা নির্দিষ্ট কক্ষপথে থেকে চাঁদকে অতিক্রম করবে। ভবিষ্যতে এই রকেট ও ক্যাপসুল বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার পাশাপাশি নভোচারীদের মহাকাশে নিতে পারবে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
ওয়াশিংটনে নাসার প্রধান কার্যালয়ে আর্টেমিস–১ মিশনের ব্যবস্থাপক মাইক সারাফিন বলেন, ‘এটি এমন একটি মিশন যা সত্যিকার অর্থে আগে যা করা হয়নি ও জানা যায়নি তা শিখতে সাহায্য করবে।’
১৯৭২ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে মানুষকে চাঁদে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে যেসব জটিল মিশন ভাবা হয়েছে, তার মধ্যে আর্টেমিস-১ ছিল অন্যতম। এখন প্রথম মিশন সফল হওয়ার গবেষকেরা দ্বিতীয় মিশন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। এভাবে ধাপে ধাপে চাঁদে আবার মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে নাসা। আর্টেমিস মিশনের মাধ্যমে প্রথম ধাপ সম্পন্ন হলো।
এর আগে পরপর দুবারের চেষ্টাতেও রকেটটি উৎক্ষেপণ করতে পারেনি নাসা। প্রথমবারের উৎক্ষেপণ ভেস্তে গিয়েছিল কারিগারি জটিলতায়। শেষবার ঘূর্ণিঝড় ইয়ানের ভয়ে আর্টেমিস–১ উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়।