চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সমন্বয়ক ও চার সহসমন্বয়কের পদত্যাগ

0
40
সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমন্বয় ও চার সহসমন্বয়ক। আজ বিকেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনে

দুই সমন্বয়কের বিরুদ্ধে একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক ও চার সহসমন্বয়ক পদত্যাগ করেছেন।

আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন। পদত্যাগ করা শিক্ষার্থীরা হলেন সমন্বয়ক সুমাইয়া শিকদার, সহসমন্বয়ক ধ্রুব বড়ুয়া, আল মাশনূন, সাইদুজ্জামান ও ঈশা দে।

তাঁরা কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ ও সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদের বিরুদ্ধে সমন্বয়কের তালিকা নিয়ে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে না পারা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহি না করে সাম্প্রতিক সময় কিছু একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ তোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আল মাশনূন। তিনি বলেন, আন্দোলন চলাকালে সমন্বয়ক ছিলেন ২২ জন। ৫ আগস্ট সদস্য হয়ে যায় ৩০ জন। নতুন যে আটজন কমিটিতে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে দুই সমন্বয়ক স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। ক্যাম্পাস সংস্কারের কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়েও তাঁরা তৎপর নয়। প্রাধ্যক্ষর পদত্যাগ না করিয়ে হলে শিক্ষার্থীদের ওঠানোর ব্যাপারে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন।

আল মাশনূন বলেন, উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ তাঁরাও চেয়েছিলেন, তবে সেটা ধাপে ধাপে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আগমন, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সব ধরনের লেজুড়বৃত্তিক ও দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যবস্থার পর যেন উপাচার্য পদত্যাগ করেন এই দাবি ছিল তাঁদের। কিন্তু কোনো মতামতকে যাচাই–বাছাই না করেই সমন্বয়কেরা ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে ফেলেছেন। শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে সমালোচনার সঠিক কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি কমিটিতে।

লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যেসব কর্মসূচি হবে, এর সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না। তাঁরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোনো দাবির পক্ষে থাকবেন। দেশ সংস্কারের কাজে প্রয়োজন হলে আবার আন্দোলনে যুক্ত হবেন।

এক সমন্বয়ক ও চার সহসমন্বয়কের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ ও সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ জানান, তাঁদের বক্তব্য তাঁরা একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে জানাবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.