চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আরেক ছাত্র নিহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে আটটার দিকে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ইনানী রিসোর্ট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রের নাম ইকবাল হাসেম ওরফে রামিম (৯)। সে হারবাং ইউনিয়নের দক্ষিণ নোনাছড়ি এলাকার মো. ইব্রাহিমের ছেলে ও স্থানীয় কুসুমকলি শিক্ষা নিকেতনের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। এর আগে গত রোববার একই সড়কের ডুলাহাজারার কলেজ গেট এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নিহত হন ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মো. রাকিব।
চকরিয়ায় বাসের ধাক্কায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু
আজ সকালে মারা যাওয়া ইকবালের বাবা মো. ইব্রাহিম বলেন, ইকবাল আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। ১৫ মিনিট পরই তিনি জানতে পারেন, তাঁর ছেলের লাশ মহাসড়কে পড়ে আছে। ‘মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে আমার সুখ-শান্তি সব শেষ হয়ে গেল।’ এই কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
চিরিংগা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক খোকন কান্তি রুদ্র বলেন, মহাসড়কের ওপর শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন হাইওয়ে পুলিশকে জানায়। পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে ধারণা করা হচ্ছে বড় কোনো গাড়ি ওই শিশুকে চাপা দিয়েছে। পুলিশ ওই গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা করছে।
রোববার ডুলাহাজারার কলেজ গেট এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মো. রাকিব নিহত হন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাকিবের সহপাঠীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তী ও ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। প্রশাসনের কাছ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।