বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি তেলবাহী ওয়াগনের সঙ্গে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডবাহী কনটেইনারবাহী লরির সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের পর হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডবাহী কনটেনারের নিচে চাপা পড়ে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। বন্দরনগরীর বন্দর থানার সল্টগোলা রেলক্রসিং এলাকায় রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ব্যস্ত বিমানবন্দর সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
নিহত যুবকের নাম মোয়াজ্জেম হোসেন লাভলু। তিনি সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ি মাঝিরঘাট এলাকা মৃত আবুল মিয়ার ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।
বন্দর থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, তেলবাহী ওয়াগনের সঙ্গে ট্যাংকারের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। পরে ট্যাংকারের নিচ থেকে একটি মোটরসাইকেল আরোহীকে বের করে আনা হয়। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তার মরদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ডের (সিজিপিওয়াই) মাস্টার আব্দুল মালেক জানান, তেলবাহী ওয়াগনটি পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ডিপো থেকে ইয়ার্ডে আসছিল। এটি সল্টঘোলা ক্রসিং পার হওয়ার সময় দুই দিকে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ একটি হাইড্রোজেন পার অক্সাইডবাহী ট্যাংকারটি রেললাইনে ওঠে যায়। এতে ওয়াগনের ইঞ্জিনের সঙ্গে ট্যাংকারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এটি উদ্ধার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রায়হান আশরাফ ‘কেমিক্যালবাহী লরিটি বন্দর থেকে বের হওয়ার সময় সল্টগোলা ক্রসিং মোড় এলাকায় ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে তেলবাহী ট্রেনের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন্দর ও ইপিজেড ফায়ার স্টেশনের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে। সংঘর্ষের ফলে লরির ওপরে থাকা কেমিক্যাল ট্যাংকার বাঁ দিকে কাত হয়ে পড়েছে। আমরা প্রথমে একটি হেলমেট ও মোটরসাইকেল নিচে দেখতে পেয়েছিলাম। পরে লরির নিচ থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।’
ঘটনার পরপর লরির চালক ও সহকারী পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।