চট্টগ্রামে খোলস ছেড়ে বের হচ্ছে এলডিপি

0
151

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে চট্টগ্রামে খোলস থেকে বের হচ্ছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক) ছাড়াও জেলা কমিটি পুনর্গঠনে মনোযোগ দিয়েছেন সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ। এ জন্য সম্প্রতি তিনি এক সপ্তাহ অবস্থান করে তৃণমূল নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়াও নেতাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করেছেন।

এলডিপির স্থানীয় নেতারা জানান, ব্যক্তি অলি আহমদের মতো চট্টগ্রামে জনপ্রিয় হতে পারেনি এলডিপি। এ জন্য শুরুতে যারা তাঁর সঙ্গে এসেছিলেন, অনেকেই ছেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে থমকে পড়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম। তবে এবার নির্বাচন সামনে রেখে এলডিপি পুনর্গঠন করছেন অলি আহমদ। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রাম মহানগরের কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন নেতৃত্বের জন্য আহ্বায়ক কমিটি করেছেন। সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন আলম আহ্বায়ক ও দোস্ত মোহাম্মদকে নগর কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। চন্দনাইশ ও পার্শ্ববর্তী সাতকানিয়ায় ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও থানা পর্যায়ে এলডিপি এবং এর অঙ্গ সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক যুবদলকে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

চন্দনাইশ উপজেলা এলডিপি সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম বলেন, ‘মাঝে কিছুটা ছন্দপতন হলেও দলে এখন সংকট নেই। সভাপতি নিয়মিত নেতাকর্মীর খোঁজখবর নিচ্ছেন। এবার তিনি জুলাইয়ে এক সপ্তাহ চট্টগ্রাম নগরী ও গ্রামের বাড়ি চন্দনাইশে ছিলেন। নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এতে করে কর্মীদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে বর্তমান আমলে সব বিরোধী দল চাপে। চট্টগ্রামে এলডিপি ভেতরে ভেতরে সংঘবদ্ধ ছিল। এখন ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হচ্ছে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে এখানে অলি আহমদ বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।’

চন্দনাইশ উপজেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক আকতার আলম বলেন, ‘দল পুনর্গঠনে উপজেলাকে ভাগ করে অলি আহমদ জ্যেষ্ঠ নেতাদের দায়িত্ব দিয়েছেন।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর অলি আহমদ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থেকে ছয়বার এমপি হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচবার বিএনপি থেকে এবং ২০০৮ সালে এলডিপি থেকে নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ১৯৯৬ সালে পার্শ্ববর্তী বর্তমান চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আংশিক) আসন থেকেও নির্বাচিত হন। পরে এ আসন ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে তাঁর স্ত্রী মমতাজ অলি এমপি হন। অলি আহমদ ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত রেল ও যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। তবে মতবিরোধের জেরে ২০০৬ সালে বিএনপি থেকে বেরিয়ে এলডিপি গঠন করেন।

নগর এলডিপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, এলডিপির অবস্থান দুর্বল হলেও চট্টগ্রামে এখনও অলি আহমদের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। এটি কাজে লাগিয়ে তিনি নির্বাচন সামনে রেখে সক্রিয় হয়েছেন। দলকে শক্তিশালী করতে অলি আহমদ অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে চট্টগ্রামে বেশি সময় দিচ্ছেন। নিয়মিত এলাকায় আসা-যাওয়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.