প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য আবু সাঈদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) হাসিবুল হক আজ বুধবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবু সাঈদের আইনজীবী মোসলেহ উদ্দিন জসীম।
এর আগে চকবাজার থানার পুলিশ বিএনপি নেতা আবু সাঈদকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। দুই পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আসামি আবু সাঈদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি, বিএনপি নেতা আবু সাঈদ পাঁচ দিনের রিমান্ডে
শুনানিতে আবু সাঈদের আইনজীবী মোসলেহ উদ্দিন আদালতে বলেন, তাঁর মক্কেল সেদিন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য স্লিপ অব টাং (মুখ ফসকে বলা কথা)। তিনি কাউকে খুনের হুমকি দেননি।
আইনজীবী মোসলেহ উদ্দিন আদালতে আরও বলেন, আবু সাঈদের সেদিনের বক্তব্যের ঘটনায় রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ২০টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে তাঁকে আট দিন রিমান্ডে কাটাতে হয়েছে।
একই ঘটনায় একাধিক মামলা চলতে পারে না উল্লেখ করে মোসলেহ উদ্দিন বলেন, তাঁর মক্কেলকে হয়রানি করা হচ্ছে।
তবে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, আসামি আবু সাঈদ বাংলাদেশ সরকারপ্রধানকে প্রকাশ্যে মৃত্যুর হুমকিসহ কবরে পাঠানোর হুমকি দিয়েছিলেন। এ বক্তব্যের নেপথ্যে কারা জড়িত আছেন, সে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
গত ১৯ মে বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে আবু সাঈদ বলেন, ‘আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য যা যা করার দরকার, আমরা করব।’
এরপর প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আবু সাঈদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হতে থাকে।
গত ২৫ মে রাজশাহী মহানগরের ভেড়িপাড়া মোড় থেকে রাজশাহী জেলা ও মহানগর পুলিশ (আরএমপি) যৌথভাবে সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি প্রাইভেট কার থেকে আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করে।