সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক যুগ্ম সচিবের সঙ্গে এক নারীর ‘ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের’ দুটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার আড়াই মাস আগে বিয়ে অথবা পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ওই যুগ্ম সচিবকে আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন ওই নারী।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মহিউদ্দীন নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গতকাল সোমবার বিকেল থেকে এ-সংক্রান্ত দুটি ভিডিও ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ভিডিও ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের, অপরটি ৬ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের।
দুটি ভিডিওতে ওই যুগ্ম সচিব ও নারীকে একটি কক্ষে দেখা গেছে। ওই যুগ্ম সচিব একসময় বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ ৪ সেপ্টেম্বর পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সচিব হয়ে তিনি ঢাকায় একটি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন।
আইনজীবী মো. মহিউদ্দীন বলেন, চলতি বছরের ৭ আগস্ট ওই নারীর পক্ষে তিনি বরগুনার সাবেক ওই জেলা প্রশাসককে আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশে ভুক্তভোগী নারী দাবি করেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জেলা প্রশাসক একাধিকবার তাঁর (নারীর) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
মো. মহিউদ্দীন আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা নোটিশের জবাব পাইনি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নারী চাইলে মামলার আশ্রয় নিতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আমার ক্লায়েন্ট (নারী) মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছেন না।’
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর বিষয়ে ওই কর্মকর্তাকে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। আইনি নোটিশের বিষয়েও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বরগুনার বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম সকালে বলেছিলেন, ‘ভিডিওটি আমার নজরে এসেছে। এখানে আমি কী বলব! এ বিষয়ে হয়তো সরকার ব্যবস্থা নেবে।’
বরগুনা জেলা অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রুদ্র রুহান বলেন, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলো তিনি দেখেছেন। সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার এ ধরনের কর্মকাণ্ড আপত্তিকর। তাঁর অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত ছিল। একই সঙ্গে ভিডিওটি যাঁরা ছড়িয়েছেন, তাঁরাও আইন লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর কাছে বিষয়টি একটি চক্রের ফাঁদ বলে মনে হয়েছে।