গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের মালিকের জামিন

0
149
ফারনাস আলম।

রাজধানীর ধানমন্ডির উইমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিউটি পার্লারের বিভিন্ন কক্ষে গোপনে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফারনাস আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এক নারী ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশ উইমেন্স ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লারে অভিযান চালায়। এরপর সেখান থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক মো. একরামুল হক বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের দুই মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করে। মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

গত ২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডিতে উইমেন্স ওয়ার্ল্ড পার্লারের বিভিন্ন কক্ষে সিসি ক্যামেরা পায় পুলিশ। একজন নারী ভুক্তভোগীর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের ধানমন্ডি শাখা থেকে আটটি সিসি ক্যামেরার ডিভিআর উদ্ধার করে। তখন তিনজনকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে সেদিন ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেছিলেন, একজন নারী ২৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডিতে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের শাখায় যান। সেখানে তিনি বিভিন্ন কক্ষে সিসি ক্যামেরা দেখতে পান। এরপর মৌখিকভাবে থানায় অভিযোগ দেন। তার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের ওই শাখায় গিয়ে আটটি সিসি ক্যামেরার ডিভিআর উদ্ধার করা হয়। তখন শাখার তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।

পরে পুলিশ বাদী হয়ে এ ঘটনায় উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের মালিক ও কর্মকর্তাদের আসামি করে মামলা করে। মামলার পর আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.