গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যে ব্যবস্থার প্রয়োজন, তা পুলিশ গ্রহণ করেছে: আইজিপি

0
156
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আজ দুপুরে, ছবি :পুলিশের সৌজন্যে

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য যে ব্যবস্থা করা দরকার, পুলিশ সেই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ কথা বলেছেন তিনি।

আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইজিপি বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য যে ব্যবস্থা করা দরকার, সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। বিভিন্ন স্তরে নির্বাচনী ব্যবস্থার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নিরাপত্তা পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশ পুলিশ একটি শত বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠান। আমাদের জনবল, প্রযুক্তি ও লজিস্টিক সাপোর্ট, ইকুইপমেন্ট ট্রেনিং ছাড়াও শত বছরের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা আছে। এটা দিয়ে নির্বাচনের সময়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশ পুলিশ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বচনে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনে প্রত্যেকের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছি।’

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উদ্‌যাপিত হয় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের ভেড়িপাড়া মোড়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শোভাযাত্রাটি পুলিশ লাইনসে এসে শেষ হয়। পুলিশ লাইনসে আইজিপি আরএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘নবচেতনায় আরএমপি’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন। এরপর আরএমপির উদ্যোগে তৈরি আদালতে সাক্ষী হাজির ব্যবস্থাপনা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন সফটওয়্যারের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে আরএমপির ৩০ বছরের ইতিহাস ও সাফল্য নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরএমপির পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমান।

পরে আলোচনা সভায় আইজিপি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথে আমরা বাংলাদেশ পুলিশকে স্মার্ট পুলিশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিয়েছি বহুমুখী পরিকল্পনা। একসময় বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের ভয়াবহ প্রকোপ ছিল। বাংলাদেশ পুলিশ তা কঠোর হস্তে প্রতিহত করেছে। সাইবার অপরাধ শনাক্তকরণে আরএমপিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব। মহানগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগরীর সর্বত্র সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। যেকোনো ক্রাইসিস মোকাবিলায় ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি) ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল দেখিয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির (সারদা) অতিরিক্ত আইজিপি মীর রেজাউল আলম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. গোলাম সাব্বির সাত্তার, সাবেক উপাচার্য মো. আবদুল খালেক, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আবদুল বাতেন প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.