
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ের একটি জীর্ণ স্থাপনার মাটির নিচ থেকে দুটি সিন্দুক পাওয়া গেছে। পাশাপাশি জায়গা থেকে দুটি লোহার সিন্দুক পাওয়ার খবরে চারদিকে হুলুস্থুল পড়ে যায়। মাটির নিচে পাওয়া সিন্দুক দুটিতে মূল্যবান কিছু থাকতে পারে এমন কৌতূহলে সেখানে ভিড় করেন লোকজন। পরে হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে দুটি সিন্দুক ভাঙা হয়। কিন্তু তাতে মূল্যবান কিছু পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেছে কিছু কাগজ, দুটি চাবি ও অব্যবহৃত কয়েকটি সিল। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুন মিয়া বলেন, ‘সাবরেজিস্ট্রি অফিসে মাটির নিচে সিন্দুক পাওয়া গেছে শুনে অনেকের মতো আমিও সেখানে যাই। সবাই ভেবেছিল মূল্যবান কিছু বের হতে পারে। কারণ, একসময় গৌরীপুর এলাকাটি জমিদার আর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখলে ছিল। দুটি সিন্দুক ভেঙে অবশ্য মূল্যবান কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষের মধ্যে অনেক কৌতূহল ছিল সিন্দুক ঘিরে।’
বেলা একটার দিকে কিছু দূর মাটি খোঁড়ার পর কাছাকাছি দুটি স্থান থেকে একে একে দুটি সিন্দুক তুলে আনেন শ্রমিকেরা। পরে সাবরেজিস্ট্রার মো. রফিকুল ইসলাম, দলিল লেখক সমিতির নেতারাসহ স্থানীয় মানুষের উপস্থিতিতে দুটি সিন্দুক হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে ভাঙা হয়।
দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসিবেশ বলেন, যে স্থানটি খুঁড়ে দুটি সিন্দুক পাওয়া গেছে, সেটি ব্রিটিশ আমলের তৈরি ছিল। সেখানে নতুন স্থাপনা নির্মাণের জন্য কাজ শুরু হবে। মাটি খুঁড়ে পাওয়া দুটি সিন্দুক সরকারি সম্পদ। অনেক মানুষের কৌতূহল থাকলেও সেগুলো খুলে ১৯৮০ সালের একটি বায়নাপত্র দলিল, দুটি নোটিশ ও কিছু চাবি ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি।
গৌরীপুরের সাবরেজিস্ট্রার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পুরোনো রেকর্ড রুমটি ১৯৮০ সালের পর থেকে আর ব্যবহৃত হয় না। সেটি জরাজীর্ণ হয়ে ভেঙে পড়ছে। টিনশেডের স্থাপনাটির মেঝেতে লোহার সিন্দুকের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছিল। সেটি অরক্ষিত হয়ে পড়ছিল। বিষয়টি জানিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আজ সেগুলো মাটির নিচ থেকে তোলা হয়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাওয়া যায়নি। দুটি সিন্দুক ভেঙে কিছু কাগজ, দুটি চাবি, অব্যবহৃত সিল পাওয়া যায়। দুটি সিন্দুক আমরা সংরক্ষণ করে রেখেছি।’