রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় নদীর একটি ঢাঁই ও একটি রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ৩৬ হাজার টাকায়। মাছ দুটি দৌলতদিয়ার পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় জেলেদের জালে ধরা পড়ে। এর মধ্যে ঢাঁই মাছটি আজ রোববার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার উজানে জালে ধরা পড়ে। আর রুই মাছটি ধরে পড়ে গতকাল শনিবার।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন, প্রতিদিনের মতো রোববার ভোরে জাল নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে বের হন জেলে আনিস। জাল ফেলে ভাসতে ভাসতে যান দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার উজানে চর করনেশনা এলাকায়। নদীতে ফেলা জাল আনিস ও তাঁর সহযোগীরা টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় একটি ঢাঁই মাছ। বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ঘাট বাজারের রওশন মোল্লার আড়তে আনেন। নিলামে তুললে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে প্রায় ৫ কেজি ওজনের মাছটি ১৫ হাজার টাকায় কেনেন ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ।
দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, ঢাঁই মাছ দেখতে পাঙাশের মতো। ঠোঁট দুটি লাল, অনেক তেলও হয়। মাছটি খেতে সুস্বাদু। পদ্মা নদীর ঢাঁই আরও বেশি সুস্বাদু। মাছটি বর্তমানে তার আড়তঘরে আছে। কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা লাভ হলেই তিনি মাছটি বিক্রি করে দেবেন।
এদিকে শনিবার বিকেলে পদ্মা নদীর সাড়ে ৯ কেজি ওজনের একটি রুই মাছ বিক্রি হয়েছে প্রায় ২১ হাজার টাকায়। মাছটি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পাশে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় জেলে কৃষ্ণ হালদারের জালে ধরা পড়ে। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মো. সোহেল মোল্লা ২ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে ১৯ হাজার ৯৫০ টাকায় কিনে ২ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ২০ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার জামান বলেন, পদ্মা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির গভীরতা কম থাকায় ইলিশসহ অন্যান্য ভালো তেমন মাছ ধরা পড়ছিল না। এখন মাঝেমধ্যে এমন ভালো মাছ ধরা পড়ছে, যা এ অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের জন্য সুখবর।