গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৪

0
19
গোলাপগঞ্জে ছাত্র লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনসিপি)র সমাবেশে হামলা ও ভাংচুর চালায়।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০), কোটালিপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৯), শহরের শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন।

বুধবার রাত (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, আমাদের এখানে চারজনের মরদেহ আনা হয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অনেকে চিকিৎসা নিলেও তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।

জীবিতেষ বিশ্বাস আরও বলেন, আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের অস্ত্রোপচার চলছে।

নিহতের সত্যতা নিশ্চিত হতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানকে কল দিলে তারা ধরেননি।

এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে সরকার।

বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় এ কথা জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।

এদিন বিকেলে গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জ সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

এরপর এনসিপির শীর্ষ নেতারা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কে করে নিরাপদে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.