গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র মামলায় কারাগারে থাকা ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রির) ডেইলি স্টারের ইংরেজি ও বাংলা অনলাইন সংস্করণে ‘অব্যাহতির নোটিস’ প্রকাশ করা হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ‘ভবন থেকে পড়ে’ কিশোরী গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর তিন মাস পর এ পদক্ষেপ নিল ইংরেজি দৈনিকটি।
নোটিসে বলা হয়, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতির নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই নোটিস অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার দিকে শাহজাহান রোডের জেনিভা ক্যাম্প সংলগ্ন একটি ভবনের নবম তলায় আশফাকুল হকের বাসা থেকে পড়ে মারা যায় প্রীতি উরাং নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী। ওই বাসাটি (ফ্ল্যাট) আশফাকের নিজের। প্রীতি প্রায় দুই বছর ধরে ওই বাসায় গৃহ সহায়ক হিসেবে ছিলেন।
ভবনের নিচে তার লাশ মেলার পর স্থানীয়রা ‘প্রীতিকে হত্যা করা হয়েছে’ অভিযোগ করে এলাকায় বিক্ষোভ করেন। প্রীতির বাবা লোকেশ উরাং পরদিন মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার এখন কারাগারে আছেন। কয়েক দফায় তাদের জামিন নাকচ হয়েছে আদালতে।
ঘটনার পর থেকে প্রীতি উরাংয়ের ঘটনায় বিচার চেয়ে করা বিভিন্ন মানববন্ধনে ও বিবৃতিতে আশফাককে ডেইলি স্টার থেকে অব্যাহতির দাবি ওঠে। এ নিয়ে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম তার অবস্থান তুলে ধরে ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি বলেছিলেন, এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি।
প্রীতির মৃত্যুর পর ঢাকা ও মৌলভীবাজারে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে দোষীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে।
কিশোরী এ গৃহকর্মীর মৃত্যুর পর থেকে মানবাধিকার কর্মীরা আশফাকের বিরুদ্ধে ডেইলি স্টারের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। ঘটনার তিন মাস পর বাদ দেওয়া হলেও নোটিসে এর কারণ ব্যাখ্যা করেনি সংবাদপত্রটি।